বর্ষার মুখে ভাঙনের কবলে ভাগীরথীর পশ্চিমপাড় লাগোয়া বহরমপুর ব্লকের কয়েক হাজার বাসিন্দা।
গত কয়েক দিন ধরে ভাগীরথীর পশ্চিমপাড় লাগোয়া ফরাসডাঙা ঘাট থেকে নিয়াল্লিশপাড়া-গোয়ালজান হয়ে ভীমেশ্বর মন্দির যাওয়ার প্রায় দেড় কিমি বরাবর রাস্তা ভাঙনের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। ভয়াবহ ভাঙনে ফুট আটেক চওড়া ওই রাস্তা এখন পায়ে চলা পথে এসে ঠেকেছে। বিপজ্জনক অবস্থায় প্রতি দিন যাতায়াত করছেন এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। সন্ধ্যার পরে ওই রাস্তা মরণফাঁদ। যদিও গোটা বিষয়টি এখনও জেলা সেচ দফতরের অজানা। ওই দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপনকুমার সাহা বলেন, “বিষয়টি আমার জানাই নেই।”
এর আগে অবশ্য ভাগীরথীর ওই পশ্চিমপাড় বরাবর ফরাসডাঙা ঘাট থেকে রাধারঘাট পর্যন্ত বোল্ডার ফেলে ভাঙন রোধ করেছে সেচ দফতর। কিন্তু ওই পশ্চিমপাড় বরাবর ফরাসডাঙা থেকে ভীমেশ্বর মন্দির যাওয়ার দেড় কিমি রাস্তার ভাঙন ঠেকাতে জেলা সেচ দফতর কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। |
স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল ঘোষ বলেন, “ভাঙন ঠেকাতে সেচ দফতর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে প্রতি দিন ভাঙছে ভাগীরথীর পাড়। ওই পাড় বরাবর ৮ ফুট চওড়া রাস্তা দিয়ে আগে যেখানে ভ্যান-রিকশা যাতায়াত করত, এখন সেখানে দিয়ে সাইকেল নিয়েও হেঁটে যাওয়া যাচ্ছে না।”
ভাগীরথীর পাড় বরাবর ওই রাস্তার উপরে নির্ভরশীল ডাহাপাড়া, রানিশ্বর, ভীমেশ্বর, বিনপাড়া, খোশবাগ, নারকেলবাগান, ভট্টমাটি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। প্রতি দিন ভ্যান-রিকশা বা সাইকেল বোঝাই করে কাঁচা সব্জি নিয়ে ফরাসডাঙা গাট পেরিয়ে বহরমপুরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য আসেন এলাকার বাসিন্দারা। পাড় ভাঙার ফলে সব্জি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাঁরা অসুবিধায় পড়েছেন, তেমনি দৈনন্দিন কাজের জন্য বহরমপুরে আসা মানুষ জনও দুর্ভোগে পড়েছেন।
ডাহাপাড়ার বাসিন্দা সেলিম শেখের অভিযোগ, “ভাঙন ঠেকাতে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ছ’মাস আগে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে অসতর্কতায় এক যুবক ২০ ফুট নীচে পড়ে ভাগীরথীতে তলিয়ে যান। এখনও সন্ধ্যার পরে যাতায়াতের ঝুঁকি নিয়ে ওই পথ দিয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা হাঁটাচলা করছেন। ভাঙন ঠেকানোর আগে অবিলম্বে পাড় বরাবর রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া উচিত।”
বহরমপুরের বিডিও কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বলেন, “সেচ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবিলম্বে ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।”
|