|
|
|
|
আর্থিক বিধি তৈরির প্রয়াস |
নিয়ন্ত্রণে গলদ, কবুল চিদম্বরমের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গে সারদা গোষ্ঠীর মতো অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কেন্দ্রের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামেরাও দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রকে। কার্যত সেই অভিযোগ মেনে নিয়ে আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম স্বীকার করলেন, আর্থিক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় যথেষ্ট ফাঁক-ফোকর রয়েছে। তাঁর মতে, একাধিক প্রতিষ্ঠান, একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা, একাধিক আইন থাকায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই গোটা আর্থিক ক্ষেত্রকে ‘ভারতীয় আর্থিক বিধি’ বানিয়ে একটি মাত্র আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
সারদা-কেলেঙ্কারির পরে কার্যত আজই প্রথম অর্থলগ্নির অবৈধ কারবার নিয়ে মুখ খুললেন চিদম্বরম। সিবিআই-কে লেখা সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনীর নামও ছিল। সে প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী মন্তব্য না-করলেও নিয়ন্ত্রণ-নজরদারির ত্রুটি মেনে বলেন, “এমন কিছু ফাঁকা জায়গা রয়েছে, যেখানে কোনও নিয়ন্ত্রক সংস্থারই নির্দিষ্ট দায়িত্ব নেই। আবার কিছু ক্ষেত্রে একাধিক এজেন্সির নজরদারি বলবৎ। তারা সেখানে অধিকারের লড়াইয়েই ব্যস্ত।” অর্থমন্ত্রী বলেন, পন্জি স্কিমের ক্ষেত্রে এমন চাতুর্যের সঙ্গেই ব্যবসাগুলো খোলা হয়েছিল, যাতে কারও নজরদারি না থাকে। অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের ব্যাখ্যা: সারদা-র মতো সংস্থারা এমন ভাবে কাজ করছিল, যাতে তারা সেবি বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কারও আওতায় না-আসে।
গোটা আর্থিক ক্ষেত্রের সংস্কারসাধনের উদ্দেশ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিএন শ্রীকৃষ্ণের নেতৃত্বে গড়া হয়েছে আর্থিক ক্ষেত্র আইনি সংস্কার কমিশন। গত মার্চে তার রিপোর্ট জমা পড়েছে। অর্থমন্ত্রীর দাবি: রিপোর্টে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে আমজনতার স্বার্থরক্ষার প্রশ্নটি। কমিশনের মতে, ব্যাঙ্ক-বিমা-অর্থলগ্নি সংস্থার মতো আলাদা ভাগ না-করে গোটা আর্থিক ক্ষেত্রের জন্যই একটি নীতি প্রণয়ন হোক। এ জন্য ভারতীয় আর্থিক বিধি (ইন্ডিয়ান ফিনান্সিয়াল কোড) তৈরিরও সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে চিদম্বরম এ-ও কবুল করছেন, সংসদীয় জটিলতায় আইন পাশ করানো খুবই কঠিন। তাই নতুন কোম্পানি বিল লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় এখনও পাশ করানো যায়নি।
|
পুরনো খবর: রাজনীতির অঙ্ক আর অর্থের সঙ্কটে কেন্দ্রকে চাপ মুখ্যমন্ত্রীর |
|
|
|
|
|