|
|
|
|
নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
এক বড়ো যুবককে হত্যা করে তাঁকে জঙ্গি বলে দাবি করেছিল অসম পুলিশ। কিন্তু জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে সেই দাবির পক্ষে পুলিশ বা প্রশাসন পর্যাপ্ত প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি। ফলে নিহত যুবকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অসম সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। জঙ্গি সন্দেহে অসম পুলিশ নিরীহদের হত্যা করছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে কমিশন।
সম্প্রতি কমিশনের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, ২০১০ সালে শোণিতপুর জেলার দৈমোগুড়ি গ্রামে রাজীব বসুমাতারি নামে এক যুবককে পুলিশ ও সিআরপিএফ গুলি করে মারে। ঘটনার পরে পুলিশ দাবি করে, ওই যুবক এনডিএফবির সদস্য। যৌথবাহিনী এনডিএফবি ঘাঁটিতে অভিযান চালালে জঙ্গিরা জওয়ানদের দিকে গুলি চালাতে চালাতে পালাচ্ছিল। পাল্টা গুলিতে জঙ্গি দলটির সদস্য রাজীবের মৃত্যু হয়। রাজীবের দাদা পুলিশের রিপোর্ট মিথ্যা বলে দাবি করে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন। তিনি অভিযোগ করেন, একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী রাজীব নিজের গ্রামে, জমির কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। তখন পুলিশ তাকে বিনা প্ররোচনায় হত্যা করে।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এবং অসম সরকারের কাছে বিস্তারিত নথি চেয়ে পাঠায় কমিশন। কিন্তু পুলিশের পাঠানো তথ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি মেলায় ফের তার ব্যাখা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কমিশনের দাবি, যথেষ্ট সময় দেওয়ার পরেও অসম সরকার কোনও জবাব দেয়নি। কিছু দিন আগে বিবৃতি পাঠিয়ে কমিশন জানায়, বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ বিচার করে ও অসম সরকারের নিরুত্তর থাকা থেকে ধরে নেওয়া যায়, অসম সরকারের এ বিষয়ে আর কিছু সাফাই দেওয়ার নেই। ঘটনা পরম্পরা থেকে মনে হচ্ছে না রাজীব জঙ্গি। ঘটনাস্থলে জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গুলির লড়াই হয়েছিল তেমন প্রমাণও মেলেনি। তাই রাজীবের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৩ জুনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নথি কমিশনকে জমা দিতেও বলা হয়েছে। |
|
|
|
|
|