নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রায় ৫০ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে মামলা দায়েরের চার দিন পরেও অভিযুক্তদের একজনও গ্রেফতার হননি। যদিও পুলিশের তরফে নথিপত্র বাজেয়াপ্ত ও কয়েকটি প্রকল্প এলাকার ছবি তোলানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু, পুলিশের একাংশ এসজেডিএ-এর একজন প্রাক্তন পদস্থ অফিসারকে আড়াল করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে সংস্থার অনেকেরই সন্দেহ। এমনকী, একজন পদস্থ পুলিশ কর্তার ভূমিকা নিয়েও তদন্তের আর্জি পৌঁছেছে এসজেডিএ-এর বর্তমান চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের কাছেও।
এমতাবস্থায়, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের থেকে মামলার তদন্ত অন্য সংস্থাকে হস্তান্তরের দাবিও এসজেডিএ-র অন্দরে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তদন্তের হাতবদলের জন্য লিখিত ভাবে আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলের একাংশ। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা জানান, ইতিমধ্যেই এসজেডিএ-এর মামলা সিআইডি কিংবা দুর্নীতি দমন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “তদন্ত যেন সুষ্ঠু ভাবে হয় তা নিশ্চিত হওয়া সব সময়ই জরুরি। সে জন্য সব রকম পদক্ষেপ করার জন্য বলা হয়েছে।” |
বাগডোগরায় থমকে রয়েছে শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লির কাজ। —নিজস্ব চিত্র। |
শ্মশানের তিনটি প্রকল্প এবং এসটিপি-২ এবং এসটিপি-৩ প্রকল্পে যন্ত্রাংশ না কেনা হলেও কাগজে কলমে তা হয়েছে দেখিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে এসজেডিএ-এর আশঙ্কা। সম্প্রতি এসজেডিএ’র দুই ইঞ্জিনিয়র মৃগাঙ্কমৌলি সরকার ও সপ্তর্ষি পাল ও একটি ঠিকাদার সংস্থার কর্তা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী অফিসার শরদ দ্বিবেদী।
কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে এবং পুলিশি তদন্তের কাজে গড়িমসি করার অভিযোগ ওঠে। দফতরের বাস্তুকার এবং অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারদের একাংশের সন্দেহ পুলিশ-আধিকারিকের একাংশর যোগসাজশে ওই সমস্ত যন্ত্রাংশগুলি কিনে রাতিরাতি প্রকল্পের কাছাকাছি কোনও একটা জায়গায় এনে রাখার ছক কষা হয়েছে। এর পরেই এ দিন পুলিশের তরফে প্রকল্পগুলির বর্তমান অবস্থার ছবি তুলে রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি, কাছাকাছি নির্মাণ কাজের সরঞ্জাম রাখার জায়গা বা গুদামের ছবিও তোলানো হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন এই ব্যাপারে বলেছেন, “প্রকল্পগুলির বর্তমান পরিস্থিতির বিশদ খোঁজ নেওয়া হয়েছে। সেগুলির ছবি এবং ভিডিও ফুটেজও তোলা হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” গত বৃহস্পতিবার এসজেডিএ’র তরফে অভিযোগ জানানোর পর দফতরে গিয়ে নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। |