পাক চর সন্দেহে সেনাকর্মী গ্রেফতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্টদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সরবরাহের অভিযোগে সেনাবাহিনীর এক অফিসকর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মণিকুমার বিশ্বকর্মা। রবিবার নকশালবাড়ি থেকে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সোমবার মণিকুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সেনাবাহিনীর ৩৩ কোরের সুকনার দফতরের কর্মচারী। পুলিশ জানিয়েছে, আরও এক সেনাকর্মীর খোঁজ চলছে।
শনিবার রাতে কার্শিয়াং এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইএসআইয়ের দুই সক্রিয় এজেন্ট মেসা সাউরি, মগনবাহাদুর সিংহ এবং দুই লিঙ্কম্যান ধনবাহাদুর প্রধান ও গোপাল খাতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই মণিকুমারের হদিশ মেলে। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “ধৃতদের চার জনকে দশ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এ দিন মণিকুমারকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকেও পুলিশ হেফাজত নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। তদন্ত চলছে।”
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুকনায় সেনাবাহিনীর ওই অফিসে মেসা বহিষ্কৃত সেনাকর্মী মগন ও আরও দু’জনকে কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র হাসিল করেন।
এ ছাড়া কোন সময় সেনাবাহিনীর কী অনুষ্ঠান হচ্ছে, কী ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র অস্ত্র ভান্ডারে আসছে, সেই সব তথ্য মণিকুমার এবং আরও এক কর্মী তুলে দিতেন মেসা ও মগনের হাতে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সে তথ্য নেপালে গিয়ে আইএসআইয়ের হাতে তুলে দিতেন মেসা ও মগন। কাঠমান্ডুতে তাঁরা বিমানে যাতায়াত করতেন। থাকতেন বিলাসবহুল হোটেলে। মণিকুমারকে দলে নেওয়ার জন্য মেসাকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশ জানতে পেরেছে, আইএসআই উত্তরপূর্ব ভারতে তাদের একটি চক্র তৈরির চেষ্টা করছিল। সে জন্যই মেসা ঘনঘন নাগাল্যান্ড, মণিপুর সহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াত করতেন। ওই রাজ্যগুলিতে আইএসআইয়ের কোনও চর রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী অফিসারেরা। পুলিশ সুপার বলেন, “ধৃতেরা ঠিক কী কী তথ্য আইএসআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” |