ফের চুরির চেষ্টা সল্টলেকে। ঘটনাস্থল সেই বি জে ব্লক। সোমবার ভোরের এই ঘটনায় চোর ধরা পড়েছে। ধৃতের নাম শেখ শাহরুখ। তার কাছ থেকে গাঁজার প্যাকেট মিলেছে।
পুলিশ জানায়, ওই ব্লকের একটি বাড়িতে শাহরুখ ঢুকে পড়লে ধরে ফেলেন কেয়ারটেকার। ধৃতের বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় গৃহকর্তা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ চিনতে পারে তাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগেও শাহরুখ জেল খেটেছে। সম্প্রতি সে ছাড়া পেয়েছে।
গৃহকর্তা দিলীপ দত্ত জানিয়েছেন, এ দিন সকাল ছ’টা নাগাদ গোলমালের আওয়াজ শুনে নীচে নেমে তিনি দেখেন, তাঁর বাড়ির কেয়ারটেকার কৃষ্ণ এক যুবককে ধরে রেখেছে। জিজ্ঞাসা করায় ওই যুবক বলে, জল খাওয়ার জন্য বাড়ির পিছন দিকের পাঁচিল টপকে সে ঢুকেছিল। বাড়ির কেয়ারটেকার সদর দরজা খোলার সময়ে ওই যুবককে দেখতে পান। কেয়ারটেকারকে দেখেই পাঁচিল টপকে পালাতে চেষ্টা করে শাহরুখ। কিন্তু কেয়ারটেকার তাকে ধরে ফেলেন।
খবর পেয়ে পুলিশ আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক তদন্তকারী অফিসার শাহরুখকে দেখেই চিনতে পারেন। তিনি তাকে বলেন, “তুই আবার এসেছিস?” তখনই বাসিন্দারা বুঝতে পারেন, ওই যুবক পুরনো অপরাধী।
ক’দিন আগেই সল্টলেকের বিজে ব্লকেই প্রতিমাশিল্পী প্রদীপ রুদ্র পালের বাড়িতে চুরি হয়। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীবকুমার প্রদীপবাবুকে দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাসও দেন। তার পরে কেষ্টপুর খালপাড় সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ জোরদার তল্লাশি শুরু করে। কেষ্টপুরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, খাল পেরিয়ে সল্টলেকে গেলে ‘চেকিং’-এর নামে তাঁদের হয়রানি সহ্য করতে হচ্ছে। পুলিশের অবশ্য দাবি, নজরদারি আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।
এই ঘটনায় বাসিন্দাদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, পুরনো অপরাধী ঘুরে বেড়ানো সত্ত্বেও পুলিশ তাকে দেখতে পেল না কেন? আগেও ১৪টি পর পর ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল অভিযুক্তকে ধরেছিলেন বাসিন্দারাই। তাই তাঁদের প্রশ্ন, পুলিশ কোথায় থাকে? বাসিন্দাদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ প্রশাসন। তাদের দাবি, কমিশনারেট হওয়ার পরে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা রুখতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে কোথাও গাফিলতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।” |