এ যেন কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ।
বিধাননগর কমিশনারেটের মনোযোগ এখন সারদা-কাণ্ডে। ফলে সাধারণ আইনশৃঙ্খলায় মনোযোগ কমেছে বলে অভিযোগ। সেই সুযোগে ফের সল্টলেকে চুরি। তা-ও এক বছরে একই বাড়িতে দু’বার।
পুলিশ জানায়, বুধবার গভীর রাতে বি জে ব্লকের ৪১২ নম্বর বাড়িতে চুরি হয়। ওই বাড়িতে থাকেন প্রতিমাশিল্পী প্রদীপ রুদ্র পাল। এক বছর আগেও ওই বাড়িতে চুরি হয়েছিল। প্রদীপবাবু জানান, বুধবার রাতে তাঁরা সপরিবার দোতলায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে একতলায় নেমে দেখেন, মূল ফটকের কাচ-সহ লক ভাঙা। ঘরে ফিরে দেখেন সব লণ্ডভণ্ড। শো-কেস থেকে আলমারি কোনও কিছুই বাদ দেয়নি দুষ্কৃতীরা। তবে চুরি গিয়েছে শুধু একটি সিমকার্ড, ব্যাটারি ও একটি কানের দুল। কিন্তু ঘরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
প্রদীপবাবু জানান, গত বছর মার্চে চোরেরা গ্রিল কেটে ঢুকে নগদ টাকা-সহ প্রচুর গয়না নিয়ে যায়। যার মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। তিনি বলেন, “সেখানে ইটের গাঁথনি করে বন্ধ করেছি। সব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার পরেও চুরি হল।” আরও বলেন, “এর পরে তো রাতে ঘুমোনো যাবে না। গত বারের চোরেরাও ধরা পড়ল না।” |
এ দিন বিধাননগরের কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করেন প্রদীপবাবু। তিনি জানান, দু’টি ঘটনারই পূর্ণ তদন্ত হবে বলে কমিশনার তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন। এ দিকে, বুধবারের ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বারবার চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও পুলিশের তরফে শুধু প্রতিশ্রুতি মিলেছে। সারদা-কাণ্ড নিয়েই ব্যস্ত পুলিশ। তা হলে কমিশনারেট গড়ে কী লাভ হল? বাসিন্দাদের সংগঠন সল্টলেক (বিধাননগর) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, “কমিশনারেট গড়ে কোনও লাভ হয়নি। বড় ঘটনা ঘটলে কি সাধারণ আইনশৃঙ্খলায় নজর কমে যাবে?”
পুলিশকর্তারা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক কর্তার দাবি, সারদা-কাণ্ড নিয়ে তদন্ত করছে গোয়েন্দা দফতর। তার জন্য সাধারণ আইনশৃঙ্খলায় নজরদারি এতটুকু কমেনি। প্রতিটি থানাতেও অন্যান্য কাজে খামতি হয়নি। এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |