রাস্তা সারানো নিয়ে দু’পক্ষের গোলমালের জেরে জনতার সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধল পুলিশের।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে বিমানবন্দর থানার গাঁতি এলাকায়। উত্তেজিত জনতার ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ন’জন পুলিশকর্মী। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের দু’টি গাড়ি। বিশৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়। তাতে ওই এলাকার পাঁচ জন বাসিন্দা জখম হন বলে অভিযোগ।
পুলিশের অবশ্য দাবি, তারা লাঠি উঁচিয়ে জনতার দিকে তেড়ে গিয়েছে শুধু। তাতে কেউ আহত হননি। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার অনীশ সরকার রাতে জানান, পুলিশকে মারাধর ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে এলাকার আট জন বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফের যাতে গোলমাল না বাধে, তাই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বড় একটি বাহিনীকে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ওই অঞ্চলে টহলও দিচ্ছে। |
পুলিশ জানায়, গাঁতি এলাকায় মাটির একটি রাস্তা রয়েছে। স্থানীয় এক ব্যক্তি বাড়ি তৈরি করছেন। তিনি বড় ট্রাকে করে বাড়ি তৈরির ইট, বালি, পাথর আনাচ্ছেন। ট্রাকের ভারে মাটির রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। ওই ব্যক্তিকে রাস্তা সারিয়ে দিতে বলেন এলাকাবাসীদের একাংশ। কিছুদিন ধরেই রাস্তা সারানো নিয়ে ওই ব্যক্তির পাড়ার লোকেদের সঙ্গে অন্য পাড়ার লোকেদের গোলমাল হচ্ছিল। এ দিন বিকেলে দু’পক্ষে ফের বিবাদ হয়। বিমানবন্দর থানার পুলিশের একটি দল দু’টি গাড়ি নিয়ে গোলমাল থামাতে যায়।
পুলিশ জানায়, যে পক্ষ রাস্তা সারিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিল, তারা পুলিশের উপরে চড়াও হয়। পুলিশের গাড়ি বাঁশ দিয়ে মেরে ভেঙে দেওয়া হয়। যথেচ্ছ ইট, পাথর ছোড়া হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে। নিউ টাউন থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু বর্মণ, বাসন্তী দলুইদের অভিযোগ, পুলিশ বিনা কারণে লাঠি চালিয়েছে ও তাঁদের ছেলেদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, যারা ইট ছুড়েছে ও পুলিশের গাড়ি ভেঙেছে, শুধু তাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, পুলিশের গাড়ি দু’টি ভাঙা অবস্থায় দাঁড় করানো। গাড়ির ভিতরেও ইটের টুকরো। সব দোকান বন্ধ। অভিযুক্তদের খোঁজে বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। |