আচমকা এক যুবক ঢুকে এলেন রানওয়েতে। কলকাতা থেকে ওড়ার সময়ে তাঁকে দেখতে পেলেন পাইলট। তিনি সে কথা জানিয়ে গেলেন কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে। কিন্তু সারা দিন ধরে আর কোনও হদিশ পাওয়া গেল না সেই যুবকের! বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা বিমানবন্দরে। কে ঢুকে এসেছিল রানওয়েতে, রাত পর্যন্ত সে সম্পর্কে একেবারে অন্ধকারে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। রাতে বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা বলেন, “এমন কোনও ঘটনার কথা আমাকে জানানো হয়নি।”
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন মুম্বই উড়ে যাওয়ার সময়ে রানওয়েতে ওই যুবকের কথা জানিয়ে যান ইনডিগোর পাইলট। ইম্ফল থেকে কলকাতায় নামতে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানকে আকাশে কিছুক্ষণ চক্কর কাটতে হয়। কলকাতা থেকে ছাড়ার জন্য প্রস্তুত জেট এয়ারের রাঁচির বিমানও আটকে পড়ে। পর্যবেক্ষণের জন্য কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয় রানওয়ে। এ নিয়ে খোঁজখবর করায় কর্তৃপক্ষের কেউ বলেন, যাঁরা রানওয়ের পাশে বসে পাখি তাড়ান, তাঁদেরই কেউ ঢুকে গিয়ে থাকবেন। কেউ আবার বলেন, রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত বাইরের কোনও কর্মী ঢুকে থাকতে পারে। অথচ ঠিক কে ঢুকেছিলেন, তা জানা যায়নি। সন্ধ্যায় সুর বদলে বলা হয়, পাইলট সম্ভবত ভুল দেখেছেন। |
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ। যাঁরা পাখি তাড়ান, তাঁদেরই এক জনের কথায়, “বিরাটির দিক দিয়ে প্রধান রানওয়ে ধরে এক উদভ্রান্ত যুবক হেঁটে আসছিলেন। আমরা রানওয়ের পাশে ছিলাম। তাঁকে ডাকতেই তিনি আমাদের দিকে চলে আসেন। জানান, বিমানবন্দরের পাঁচিল টপকে ভিতরে এসেছেন। পরনে ছাই রঙের ফুলপ্যান্ট ও খয়েরি রঙের টি-শার্ট।” যুবক অসংলগ্ন কথা বলছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। তার পরেই তাঁকে নাকি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও কর্তৃপক্ষ সে কথা মানতে চাননি।
এমনতিতেই নতুন টার্মিনালের পরিচ্ছন্নতা, কাচ ভাঙা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে কর্তৃপক্ষ। এ দিন সকালেই নতুন টার্মিনালের ৫৪ নম্বর এরোব্রিজের কাছে একটি কাচ ভেঙে পড়ে। দু’দিন আগে দুই হুইল চেয়ারে বসা যাত্রীর প্রায় পায়ের কাছে কাচ ভেঙে পড়েছে। |