|
|
|
|
আপাতত ঠাঁই আর্থার রোডে, হাঁপিয়ে উঠেছেন মুন্নাভাই |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি, আর্থার রোড জেলের কুঠুরিতে হাঁপিয়ে উঠলেন মুন্নাভাই।
ডিমের মতো দেখতে ‘আন্ডা’ সেলে সঞ্জয় দত্তের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ছোট্ট ঘরটার অর্ধেকটা মাটির নীচে। তাই ভাল করে আলো ঢোকে না। সাধারণত দাগি অপরাধীদের কিংবা সন্ত্রাসবাদীদের এ ধরনের কুঠুরিতে রাখা হয়। সঞ্জয়কে অবশ্য রাখা হয়েছে তাঁর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে। যদিও সঞ্জয়ের আইনজীবী রিজওয়ান মার্চেন্ট আজ আদালতে মৌখিক আবেদন জানান, সঞ্জয়কে আন্ডা সেল থেকে সরিয়ে জেলের অন্য কোনও কক্ষে থাকতে দেওয়া হোক।
মার্চেন্ট বলেন, “ওই কুঠুরিতে হাওয়া চলাচলের যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। ফলে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে সঞ্জয়ের। তা ছাড়া, ভাল ভাবে আলোও ঢোকে না ঘরটাতে।” তাঁর বক্তব্য, সঞ্জয় সন্ত্রাসবাদী নন, অস্ত্র আইনে তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে। অতএব কোনও ভাবেই সঞ্জয়কে আন্ডা সেলে রাখা যায় না। জবাবে বিচারক জি এ সানাপ লিখিত আবেদন জানাতে বলেন মার্চেন্টকে।
অন্য এক অফিসার জানান, পুণে, ঠানে, নাগপুর, নাসিক, নবি মুম্বইয়ের জেলগুলোর অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে যেমন, কত জন বন্দি সেখানে রয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন, অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত কোনও কুখ্যাত বন্দি রয়েছে কি না, ইত্যাদি। তিনি বলেন, “যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তা হলে আর্থার রোডেই রেখে দেওয়া হবে সঞ্জয়কে। অবশ্য ইয়েরওয়াড়া জেলে পাঠানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।”
জেলে অন্য বন্দিদের হাতে সঞ্জয় আক্রান্ত হতে পারেন, এই আশঙ্কার কথা আজ আদালতে জানিয়েছিলেন আইনজীবী মার্চেন্ট। তাতে বিচারক সানাপ বলেন, “সঞ্জয় দত্ত নিজেকে বা নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে যথেষ্ট সক্ষম।”
গত কাল সারা রাত ধর্মীয় গ্রন্থ পড়েছেন সঞ্জয়। সকালে উঠে শরীরচর্চাও করেন। যদিও তাঁকে যথেষ্টই অস্থির দেখাচ্ছিল, জানালেন এক অফিসার। গত বার যখন ইয়েরওয়াড়ায় ছিলেন, ছুতোরের কাজ করতেন। এ বার চাষের কাজ, কিংবা রঙের মিস্ত্রি বা কাপড় বোনার কাজ করতে পারেন। তবে ঠিক কী করবেন, তা এখনও জানা যায়নি।
|
পুরনো খবর: সময়সীমা শেষ, আত্মসমর্পণ খলনায়কের |
|
|
|
|
|