|
|
|
|
মাধ্যমিকে পাশের হারে রেকর্ড অসমে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
এ বারের মাধ্যমিকের পাশের হারে রেকর্ড অসমে, ৭০.৭১ শতাংশ। প্রথম ১০টি স্থানে ৩১ জন ছাত্রছাত্রীর নাম রয়েছে। এরমধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ১২। এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩,৬৬,৪৭৬ জন। এর মধ্যে ১৩৮৪ জন ডিস্টিংসন (৮৫ শতাংশের বেশি), ২৫,৮৩৭ জন স্টার (৭৫ শতাংশের বেশি) ও ২৮৩৩৭ জন প্রথম বিভাগ পেয়েছে। ছেলেদের মধ্যে পাশের হার ৭৩.৩১ শতাংশ, মেয়েদের পাশের হার ৬৮.২৫ শতাংশ। ২০০৪ সাল অবধি রাজ্যে পাশের হার পঞ্চাশ শতাংশও ছাড়ায়নি। ২০০৯ সাল থেকে পাশের হার বাড়তে থেকে, ৬০ শতাংশ ছাড়ায়। ২০১১ সালে প্রথমবার ৭০.৩৮ শতাংশ পাশের হার নজির গড়েছিল। সেই নজিরও ভেঙে গেল এ বছর। পাশের হারে খুশি মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের গভীর নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব বাড়ার ফলেই ফলাফলে উন্নতি হয়েছে।” গতবারের মতো এ বছরও সবচেয়ে ভাল ফল করেছে ধেমাজি জেলা (৮৫.৭৬ )। ৮০ শতাংশের বেশি পাশের হার রয়েছে নলবাড়ি ও শিবসাগরেও। |
|
আইসিএসই পরীক্ষায় ঝাড়খণ্ডে শীর্ষস্থান পেয়েছে ধানবাদের
শুভম রায়। ৯৭.৬ শতাংশ নম্বর পাওয়ায় উত্ফুল্ল মা। ছবি: চন্দন পাল |
মোট ৬০০র মধ্যে ৫৭৩ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান দখল করেছে পাঠশালা শিক্ষাপীঠ আদর্শ হাইস্কুলের ছাত্র ইজাজ আহমেদ। ৫৬৯ নম্বর পেয়ে চারজন দ্বিতীয় হয়েছে। এরা হল: ডিব্রুগড় লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুলের গৌরিকা বাং, নলবাড়ি আনন্দ বিদ্যা নিকেতনের মানসজ্যোতি শর্মা, শিবসাগরের সোফি মার্সি মেমোরিয়াল স্কুলের পিঙ্গলপ্রত্যূষ নাথ, শোণিতপুর ডন বসকোর সৌরভ পাল। ৫৬৫ পেয়ে যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে ধেমাজির ক্রাইস্ট কিং হাইস্কুলের ভার্গব পাঠক ও শিবসাগরের এল বি শঙ্করদেব শিশু বিদ্যানিকেতনের প্রিয়াঙ্কা গগৈ।
অন্যদিকে, হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় মোট ৯,৬৯৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬,৭৯৭ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৭০.০৮ শতাংশ। প্রথম বিভাগ পায় ৩২৯ জন। ৮৬.৫৪ শতাংশ পাশের হারসহ যোরহাটের ফল সবচেয়ে ভাল ও ৪৪.১ শতাংশের পাশের হার নিয়ে কাছাড় রয়েছে সবার চেয়ে নীচে। তিনসুকিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রী ফারজিন সুলতানা ও শোণিতপুর আজাদ মেমোরিয়াল হাই মাদ্রাসার ছাত্র রইসুল আলম ৫০৭ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে। গোয়ালপাড়ার রাখালডুবি হাই মাদ্রাসার ছাত্র আরিফুল আমিন আনসারি ৫০৬ পেয়ে দ্বিতীয় ও নগাঁওয়ের বাগারিগুড়ি মাদ্রাসার ছাত্র মাহমুদ নুরানি ৫০৩ পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
ফল জানবার জন্য যে ৬টি ওয়েবসাইটের উল্লেখ সরকারি তরফে করা হয়েছিল, সেগুলি ঠিকমতো কাজ না করায় সকাল থেকে রাজ্যজুড়ে বিভ্রান্তি, বিক্ষোভ চলে। সরকারের ঘোষণা করা এসএমএস নম্বরগুলিও কাজ করেনি। পাশাপাশি, কামরূপ-সহ বিভিন্ন জেলায় মার্কশিটে অসমীয়ার নম্বর উল্লেখ না থাকা নিয়ে ক্ষোভ ছড়ায়। ইংরাজির নম্বর না থাকা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ এসেছে। মধ্যশিক্ষা বোর্ডের (সেবা) তরফে জানানো হয়েছে, সব ত্রুটি ও গরমিল এক সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে ফেলা হবে। পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণায় বিভ্রাট, বিভিন্ন কেন্দ্রে মার্কশিট না আসা ও মার্কশিটে নম্বর না থাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বিবৃতি প্রকাশ করে জানান, সব বিভ্রান্তি, গরমিল অবিলম্বে দূর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার কাছে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, ওয়েবসাইটে তুমুল চাপ পড়ার কারণেই প্রথমদিকে সমস্যা হলেও পরে সবই ঠিক ছিল। তিনি আরও বলেন, “প্রথম তিন স্থানাধিকারী ছাত্রছাত্রীকে নাসা ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হবে।” উল্লেখ্য, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, এ বছর ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেলেই মিলবে ল্যাপটপ। |
|
|
|
|
|