|
|
|
|
জেএমএমের গড় দুমকায় আজসুর সভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুমকা |
আদিবাসী ‘সেন্টিমেন্ট’ উস্কে দিয়ে সাঁওতাল পরগনায় কার্যত ভোটের প্রচার শুরু করে দিল অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন তথা আজসু পার্টি। তাও আবার সেটা দুমকায় বসে। যে দুমকা শহর ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা তথা শিবু সোরেনের ‘কেল্লা’ বলেই এ রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। আর সেই ‘মিথ’কেই অস্বীকার করলেন আজসু সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাত। শিবু কিংবা তাঁর দলের নাম না করেই তিনি বলেন, “দুমকা কারও গড় নয়!”
জেএমএম তাদের যে-কোনও অনুষ্ঠানের জন্য যে জায়গাটি বেছে নেয়, দুমকার সেই গাঁধী ময়দানেই বৃহস্পতিবার প্রায় চার হাজারেরও বেশি লোক নিয়ে জনসভা করেন সুদেশ। সমগ্র সাঁওতাল পরগনার তিনটি লোকসভা ও আঠারটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে গাঁধী ময়দানে লোক নিয়ে আসা হয়। প্রকাশ্য সভাতেও সুদেশ বলেন, “দুমকা কিারও নিজস্ব সাম্রাজ্য নয় যে এখানে অন্য কেউ আসতে পারবে না! উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাবে যেখানে পৌঁছনোর কথা ছিল, সাঁওতাল পরগনা সেখানে পৌঁছতে পারেনি।”
সভায় যাওয়ার আগে দুমকা সার্কিট হাউসে বসেই তিনি অভিযোগ করেন, সিধো-কানহোর মতো ব্যক্তিত্বকে উপযুক্ত সম্মান দেওয়া হয়নি। তাঁর উত্তরপুরুষরা কেউ উপযুক্ত শিক্ষার সুযোগ পাননি। সরকারি চাকরি পাননি। তাঁর দল সরকারে এলে সিধো-কানহোর গ্রাম, ভোগনডিহ্-কে ‘মডেল গ্রাম’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তাঁর দল ক্ষমতায় এলে সাঁওতাল পরগনায় শিক্ষারও সুব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন সুদেশ।
রাষ্ট্রপতি শাসিত ঝাড়খণ্ডের বর্তমান বিধানসভা ভঙ্গের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে যে কোনও সময়েই বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে পারে। এই অবস্থায় দুমকার গাঁধী ময়দানে সুদেশের এই সভা তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজনীতির কারবারিদের ব্যাখ্যা, শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্ত মুখ্যমন্ত্রী না হওয়ায় জেএমএম সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়ে রাজ্যে রাজনৈতিক জটিলতার সৃষ্টি করেছে। ফলে বিধানসভা নির্বাচনে জেএমএমের উপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে সবাই, বিজেপি থেকে আজসু। সুদেশ নিজেও এ দিন জানান, এর পর একাধিক অনুষ্ঠান করবেন তিনি দুমকায়। জেএমএম অবশ্য আজসুর সভাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। দলের মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “সুদেশ আগে নিজের দলটা টিকিয়ে রাখুন। তার পর অন্য কথা।” |
|
|
|
|
|