|
|
|
|
ভাষাশহিদ দিবসের জন্য প্রস্তুত বরাক উপত্যকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
আগামী রবিবার, ১৯ মে ভাষাশহিদ দিবস পালনের জন্য পুরো প্রস্তুত বরাক উপত্যকা। ১৯৬১ সালে এই দিনেই বাংলা ভাষার জন্য লড়াইয়ে পুলিশের গুলিতে শিলচরের ১১ জন প্রাণ দেন। ১০ তরুণের সঙ্গে শহিদ হয়েছিলেন কমলা ভট্টাচার্যও।
তাঁদের স্মরণে বুধবার থেকেই নানা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ এ বার এই দিনটিকে ‘প্রতিবাদী উনিশ’ হিসেবে পালন করছে। এর অঙ্গ হিসেবে বুধবার শিলচর শহর ও শহরতলিতে মানবশৃঙ্খল গড়ে তোলে এরা। আজ হয় ‘উনিশের পথ চলা’। ভাষাশহিদ দিবস পালনের আহ্বান জানিয়ে এই মিছিল অবশ্য প্রতি বছরই বেরোয়। তবে সেখানে শুধু বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার ব্যাপারটাই গুরুত্ব পেত। এ বার আয়োজক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ এই স্মরণ-আন্দোলনে বরাক উপত্যকার প্রতি বঞ্চনার কথায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ প্রকল্প ১৭ বছরেও শেষ হচ্ছে না। ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ মাঝপথে বন্ধ। কবে থেকে দাবি উঠেছে, শিলচর রেল স্টেশনের নাম বদলে ‘ভাষাশহিদ’ করা হোক। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না তাতেও। এ সবের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে আজকের মিছিলে। এতে বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠনের সঙ্গে কাছাড় হিন্দিভাষী ছাত্র পরিষদও পা মেলায়। মিছিলের শুরুতে ‘রক্তক্ষয়ী উনিশ’ নামে এক ভিডিও অ্যালবামের আবরণ উন্মোচন হয়। হাইলাকান্দিতেও আজ ভাষাশহিদ দিবস পালনের আহ্বান জানিয়ে মশাল-মিছিল বেরোয়। আয়োজক হাইলাকান্দি প্রেস ক্লাব। করিমগঞ্জেও ১৯ মে মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ‘আনন্দধারা’র কর্মকর্তা মনোজ দেব জানিয়েছেন, তাঁরাও এ বার ‘প্রতিবাদী ১৯’-ই পালন করবেন। অন্যান্য বছরের মতো সকাল থেকে পরিক্রমা হবে। গান-বাজনা-আবৃত্তির সঙ্গে হবে পথনাটিকাও। ব্রডগেজ, করিডর ইত্যাদি দাবিতে আওয়াজ তোলা হবে ওই সব নাটকে। শিলচর শহরের বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও তাঁরা অনুষ্ঠান করবেন নতুনবাজার, পালংঘাট এবং আইরংমারায়।
আজ ‘উনিশের আবাহন’ করল বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কাছাড় জেলা সমিতিও। ‘উনিশের চেতনার বিবর্তন ও বর্তমান প্রজন্ম’ বিষয়ে বিভিন্ন বক্তা নিজেদের মত প্রকাশ করেন। লক্ষ্মীপুরে এ বার ভাষাশহিদ দিবসে সুদৃশ্য এক শহিদ বেদির উদ্বোধন হবে। লক্ষ্মীপুর ভাষাশহিদ মিনার কমিটি সন্ধ্যায় মশাল মিছিলেরও আয়োজন করেছে। |
|
|
|
|
|