|
|
|
|
আগ্রহ কম কৃষিতে, বিকল্পের সন্ধানে ভিড় শহরে |
স্বপন সরকার • পটনা |
দেশের সব থেকে ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্য হিসেবে উঠে এল বিহারের নাম। ২০১১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে এই তথ্য জানা গিয়েছে। আজ বিহারের জনগণনা দফতর থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বর্তমান লোকসংখ্যা ১০ কোটি ৪০ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৫২। ২০০১ সালের তুলনায় ২৫.৪২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে আবার পটনা জেলার জনসংখ্যা সব থেকে বেশি এবং শেখপুরার সংখ্যা সব থেকে কম। একই সঙ্গে কৃষি ভিত্তিক বিহারের জন্য খারাপ খবর, রাজ্যে কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমছে।
বিহারের জনগণনা দফতরের অধিকর্তা এ কে সাক্সসেনা জানান, বিহারে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে লোকসংখ্যা ২০০১ সালে ছিল ৮৮১। এ বার তা বেড়ে হয়েছে ১১০৬। গত বারের জনগণনার হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে ৮ কোটি ৯ লক্ষ মানুষ বসবাস করতেন। এ বারে ২ কোটি ১১ লক্ষ জন সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে। রাজ্যের উন্নতির নিরিখে শিক্ষার হার যেমন বেড়েছে, তেমন কৃষির উপর নির্ভরতাও ক্রমশ কমেছে। সাক্ষরতা বৃদ্ধির হার ১৪.৮ শতাংশ। একই সঙ্গে কৃষির সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যা ৪ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০০১ সালের জনগণনার হিসেবে এই কাজে যুক্ত ছিলেন ৭৭.৩ শতাংশ মানুষ। এবার তা কমে হয়েছে ৭৩.৫ শতাংশ। রাজ্যে নীতীশ সরকার কৃষিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ‘রোড ম্যাপ’ তৈরি করেছে। সরকার থেকে আরও বেশি বিনিয়োগ করা হচ্ছে কৃষিতে। তা হলে মানুষ কী কৃষির প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে?
অর্থনীতিবিদরা কিন্তু এর পিছনে রাজ্যের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে চাইছেন। একই সঙ্গে তাঁরা মনে করছেন, জনগণনার হিসেব অনুযায়ী গত ১০ বছরে মাত্র ৪ শতাংশ কৃষি নির্ভরতা কমে যাওয়াটা বিশেষ তাত্পর্যবাহী নয়। এটা খুবই ধীর গতিতে চলছে। পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক নওলকিশোর চৌধুরী বলেন, “কৃষির উপর নির্ভরতা কমে যাওয়ার থেকে প্রমাণ হয়, গ্রামের মানুষের কাছে কৃষি কাজের বিকল্প তৈরি হয়েছে। শতাংশের হিসেবে কম হলেও কৃষি কাজ ছেড়ে অন্য ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ এসেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহণ এবং শিল্পের ক্ষেত্রে সুযোগ বাড়ছে।” কৃষিতে আগ্রহ হারানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, “এখনই এমন সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না। কারণ কৃষি কাজে যুক্ত একটি পরিবারের চার জনের মধ্যে হয়তো দু’জন অন্যত্র কাজ করছে।” |
|
|
|
|
|