এখন থেকে কালীঘাট মন্দিরের সব আয় কম্পিউটারে রাখতে হবে। যদি মন্দিরের উন্নয়নে কেউ টাকা দেন, তা হলে তাঁকে আবেদন পত্রে সে কথা লিখে মন্দির কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে কালীঘাট নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার নিষ্পত্তি করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
সুরভি বসু ও সমীর বসু নামে এক দম্পতি ওই জনস্বার্থ মামলাটি করেন। কালীঘাট মন্দির নিয়ে করা এই মামলার দীর্ঘদিন শুনানি চলেছে। প্রধান বিচারপতি সব পক্ষের কাছ থেকে পরামর্শ চান। তাঁরা পরামর্শও দেন। মামলা চলাকালীন প্রধান বিচারপতি নিজেও বেশ কয়েক বার কালীঘাটে যান। পরে সব পক্ষের পরামর্শ ও নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এ দিনের দেওয়া মামলার রায়ে মন্দিরের উন্নয়ন, পরিচ্ছন্নতা ও ভক্ত সহায়ক পরিবেশ নিয়ে আরও কিছু নির্দেশ দেন। |
কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অফ সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট’ কালীঘাট মন্দিরের উন্নয়নে ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রথম পর্যায়ে দেওয়া ৫ কোটি টাকায় পুরসভা ভক্তদের জন্য গেস্ট হাউস করে। মন্দিরের উন্নয়নে আরও কিছু ব্যয় হয়। বাকি ৭৬ লক্ষ এখনও পড়ে। ডিভিশন বেঞ্চ এ ব্যাপারে পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এখনই কী করতে হবে, তা-ও জানিয়েছে। ওই ৬৫ কোটি টাকা খরচের জন্য আইএফএসডি নিজেরাই পরিকল্পনা করেছিল। তা খতিয়ে দেখতে কমিটিও তৈরি করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। তাতে থাকছেন কলকাতার সিপি, জেলাশাসক, মেয়র, স্থানীয় কাউন্সিলর, পর্যটন সচিব, মন্দির কমিটির প্রতিনিধি ও সেবায়েতদের প্রতিনিধি। ওই কমিটিই পরবর্তী পর্যায়ের টাকা আনার ব্যাপারে কথাবার্তা বলবে।
|