প্রেসিডেন্সিতে হামলার ঘটনার দু’দিন পরে আচার্য তথা রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার তিন দিন বাদেই ওয়েবসাইটে বার্তা দিয়ে মেন্টর গ্রুপ জানিয়েছিল, রুদ্ধদ্বার নিরাপত্তা প্রেসিডেন্সির ঐতিহ্যের পরিপন্থী। এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলও প্রায় একই কথা জানাল। কাউন্সিলের মতে, ক্যাম্পাসে যথেষ্ট নিরাপত্তা দরকার ঠিকই। কিন্তু পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা বজায় রাখা কোনও দীঘর্র্মেয়াদি বন্দোবস্ত হতে পারে না।
সিসিটিভিতে অবশ্য আপত্তি নেই কাউন্সিলের। শনিবার কাউন্সিলের বৈঠকের পরে এ কথা জানান মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলের সদস্য সুগত বসু। গত ১০ এপ্রিল প্রেসিডেন্সির মূল ফটকের তালা ভেঙে ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা চালায় এক দল লোক। তারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কারণ, হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের ঠেকাতে তারা সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
তার দু’দিন বাদে ক্যাম্পাসে হাজির হয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “পরিস্থিতি চরমে না পৌঁছলে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডাকতে চান না। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার, তা হয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা এটা জানে। তারা সেই সুযোগটা নেয়।” রাজ্যপাল সাফ জানান, তিনি বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আরও বেশি পুলিশ মোতায়েনের পক্ষপাতী।
শনিবার কাউন্সিলের বৈঠকে ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপাচার্য মালবিকা সরকার জানান, নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যাপারে ফের আলোচনা করবে কাউন্সিল। শিক্ষক-শিক্ষিকা, আধিকারিক, ছাত্র, শিক্ষাকর্মী-সহ সকলের সঙ্গেই বিষয়টি নিয়ে কথা হবে। হামলার ঘটনায় কাউন্সিল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কাউন্সিলের সদস্যেরা জানান, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে আছেন। আপাতত বেলা ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্রেসিডেন্সির মূল ফটকে পুলিশ মোতায়েন থাকছে। |