টুকরো খবর
সহকর্মীকে ‘খুনের চেষ্টা’, ধৃত
সহকর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার কর্মী। শুক্রবার, বিধাননগরের শ্যামলী আবাসনের বি ব্লক থেকে। ধৃত তমাল চৌধুরীকে শনিবার বিধাননগর আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেয়। পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই সংস্থার দুই চুক্তি-ভিত্তিক কর্মী সমীর দাস ও তমাল চৌধুরীর মধ্যে গোলমাল হয়। অভিযোগ, তমাল দা দিয়ে সমীরের চোয়ালে, কাঁধে আঘাত করেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার পরে তমালই পুলিশকে ফোন করে সব জানান। পুলিশ সমীরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। পুলিশ জানায়, জেরায় তমাল কবুল করেছেন, সমীরের সঙ্গে পেশাগত শত্রুতা ছিল। পাশাপাশি অফিসে সতীর্থেরা তাঁকে নিয়ে মজা করতেন, তা মানতে পারেননি তিনি। তাই একটি দা কিনে আনেন এবং গোলমাল হতেই সমীরকে তা দিয়ে আঘাত করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই আবাসনে। ওই অফিসের পাশের ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা জানান, হঠাৎ দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে ব্লকের সামনে রাখা পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এই অফিসে আগেও গোলমাল হয়েছিল।

মোক্তারের জামিনের শুনানি পিছোল
কেস ডায়েরি না আসায় গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে অভিযুক্ত স্থানীয় কংগ্রেস নেতা মহম্মদ মোক্তারের জামিনের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে গেল। শনিবার আলিপুরের জেলা ও দায়রা জজের আদালতে এই আবেদনের শুনানি ছিল। ভারপ্রাপ্ত বিচারক সুদেব মিত্র মঙ্গলবার ফের শুনানির দিন ধার্য করেছেন। ওই দিন মামলার কেস ডায়েরি পেশ করতে তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি গার্ডেনরিচের একটি কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের ভোটকে ঘিরে গন্ডোগোলের জেরে খুন হন কলকাতা পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর তাপস চৌধুরী। এই ঘটনায় হত্যার চেষ্টা এবং সশস্ত্র অবস্থায় হাঙ্গামা বাধানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মোক্তারকে। একই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাকেও। তাঁর বিরুদ্ধে হাঙ্গামা বাধানোর পাশাপাশি তাপস চৌধুরীকে খুনের অভিযোগও রয়েছে। হাঙ্গামা বাধানোর ঘটনায় জামিন পেলেও খুনের ঘটনায় জামিন পাননি মুন্না। খুনের মামলায় পুলিশ মুন্নার বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করেছে।

আলিপুর বডিগার্ড লাইনে অগ্নিকাণ্ড
অল্পের জন্য বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে বেঁচে গেল আলিপুর বডিগার্ড লাইনের কলকাতা পুলিশের অডিটোরিয়াম। শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ অডিটোরিয়ামের দোতলা থেকে ধোঁওয়া বেরোতে দেখেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। এর পরে দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে পৌঁছায় কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। অডিটোরিয়ামের মঞ্চের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত বৈদ্যুতিক ত্রুটির জন্য এই ঘটনা ঘটতে পারে। তবে দমকলের কেউ অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

শ্লীলতাহানি, রক্ষী সাসপেন্ড
আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে এক বন্দির শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দেবাশিস সিকদার নামের ওই কারারক্ষীকে সাসপেন্ড করা হয় বলে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। জেল সূত্রের খবর, দেবাশিস জনৈক বৃহন্নলা কয়েদির শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। ওই বন্দি চুরির অভিযোগে ধরা পড়ে জেল হেফাজতে ছিলেন। এ দিনই তিনি জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। কারা দফতরের এক কর্তা বলেন, “দেবাশিস স্বীকার করেছেন, কিছুটা কৌতুহলবশত তিনি ওই বন্দির সঙ্গে অভব্য ববহার করেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

ফ্ল্যাট থেকে দেহ উদ্ধার
গাঙ্গুলিবাগানের একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম সুমিত ভট্টাচার্য। বন্ধ ঘর থেকে পচা গন্ধ পেয়ে তাঁর পড়শিরাই পুলিশে খবর দেন। শনিবার রাত আটটা নাগাদ পুলিশ গিয়ে বন্ধ ফ্ল্যাটের দরজা খোলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমিতবাবু ওই ফ্ল্যাটে একা থাকতেন। মৃত্যুর পরে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকায় দেহটিতে পচন ধরে এবং বিকৃত হয়ে যায়।

গয়না চুরি, ধৃত
গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক মহিলাকে। ধৃতের নাম দেবী রায়। মহানির্বাণ রোডের একটি বাড়িতে তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন। গত ৫ই মে বাড়ির মালিক রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, তাঁর স্ত্রীর সোনার গয়না আলমারি থেকে চুরি গিয়েছে। তিনি আরও জানান, যে দিন থেকে গয়নার খোঁজ মিলছে না, তার পর দিন থেকে দেবীও অনুপস্থিত। তদন্তে নেমে শুক্রবার সোনারপুর থানা এলাকার সুভাষগ্রাম থেকে দেবীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের থেকে সোনার গয়নাও মিলেছে।

দুর্ঘটনায় মৃত দুই
লরি ও অ্যাম্বাসাডরের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। শনিবার, জোড়াবাগান থানা এলাকার রবীন্দ্র সরণি ও নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের সংযোগস্থলে। পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় আহত হন অ্যাম্বাসাডরের চালক অর্জুন চোপাল (২৪) ও রঞ্জিত যাদব(৩৫) নামে এক আরোহী। দু’জনেই মানিকতলার বাসিন্দা। তাঁদের আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।

চুন্নু মিঞা গ্রেফতার
প্রতারণার অভিযোগে ধৃত কংগ্রেস নেতা চুন্নু মিঞাকে শনিবার জেল হাজতে পাঠাল আদালত। টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগে চুন্নুকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়। এ দিন তাঁকে আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৪ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.