তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার এক কর্মীর নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধছে।
পুলিশ জানায়, সল্টলেক পাঁচ নম্বর সেক্টরের তথ্যপ্রযুক্তি তালুকের একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার ইমতিয়াজ আলম নামে ওই যুবক ৭ মে সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন বলে পুলিশে ডায়েরি করেন সংস্থার এক অধিকর্তা। পরদিনই তাঁর পরিবারও পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করে। তপসিয়া রোডের বাসিন্দা ইমতিয়াজের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশের কাছে ওই অধিকর্তার দাবি, ইমতিয়াজ ওই দিন তাঁকে এসএমএসে জানান, সংস্থাকে পুনরায় ঠকিয়েছেন বলে তিনি আত্মহত্যা করতে চান। ইমতিয়াজ কখন এসএমএসটি পাঠান, সে বিষয়ে সংস্থার মালিক বা পুলিশ মুখ খুলতে চাননি। ওই অধিকর্তা বলেন, “ইমতিয়াজকে নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। পুলিশকে তা জানিয়েছি।”
ইমতিয়াজের পরিবারের দাবি, ৭ মে সকাল দশটায় অফিসে যান ইমতিয়াজ। দুপুর ১২টায় অফিসের কাজে বেরোন, ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফিরেও আসেন। সন্ধ্যা ৭টা ৪১ মিনিটে অফিস থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তাঁদের বক্তব্য, অফিস থেকে বেরনোর কিছুক্ষণের মধ্যে কী ভাবে কর্তৃপক্ষ বোঝেন, ইমতিয়াজ নিখোঁজ। তাঁদের অভিযোগ, এর পিছনে সংস্থার ভূমিকা আছে। কেন ইমতিয়াজ ওই অধিকর্তাকেই এসএমএস পাঠালেন বা পরিজনদের খবর না দিয়ে কেন থানায় অভিযোগ দায়ের হল, প্রশ্ন উঠেছে এ নিয়েও। পরিবারের দাবি, ৭ মে দুপুরেও ফোনে তাঁদের সঙ্গে ইমতিয়াজের কথা হয়। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সংস্থার এক ব্যক্তি ইমতিয়াজের খোঁজে তাঁর বাড়িতেও যান।
ইমতিয়াজের পরিজনেরা শনিবার বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরে অভিযোগ জানান, পুলিশ শুধু আশ্বাসই দিচ্ছে। ওই সংস্থায় গিয়ে খবর নিতে নিষেধ করছে। অভিযোগ অস্বীকার করে এক পুলিশকর্তা জানান, কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে। তদন্ত চলছে। |