ভারতীয় ভূখণ্ডে কেন চিনা সেনারা ঢুকেছিল তার ব্যাখ্যা দিতে বেজিংকে অনুরোধ করল নয়াদিল্লি। চিন সফরে গিয়ে তিনি সে দেশের নেতৃত্বকে এই অনুরোধ করেছেন বলে আজ জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ।
সম্প্রতি লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে চিনা সেনা। তাঁবু খাটিয়ে ঘাঁটিও গাড়ে তারা। তাদের মুখোমুখি ঘাঁটি গাড়ে ভারতীয় সেনাও।
বেশ কিছু দিন টানাপোড়েনের পরে চিনা সেনা সরে যায়। কেন চিনারা অনুপ্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে কোনও ব্যাখ্যাও দেয়নি চিন। অনুপ্রবেশের ঘটনা খুরশিদের সফরের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। সমস্যা মিটে যাওয়ায় চিনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন বিদেশমন্ত্রী।
১৯ মে ভারত সফরে আসছেন চিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লে কেকিয়াং। তখন বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে শুরু করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে শীর্ষ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং চুক্তি হওয়ার কথা। কিন্তু, সীমান্তের নিরাপত্তার প্রশ্নটিও যে বড় হয়ে উঠতে চলেছে তা আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন খুরশিদ। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে খুরশিদ বলেছেন, “চিনা নেতৃত্বের বোঝা উচিত যে বিষয়টি গোটা দেশের মানুষের ভাবনাচিন্তার সঙ্গে যুক্ত। কেন এমন ঘটনা হল তার ব্যাখ্যা প্রয়োজন।”
দু’মাস আগে ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে একটি নতুন প্রস্তাব নয়াদিল্লিকে দিয়েছিল বেজিং। কিন্তু, সেই প্রস্তাব আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে চাইছে না সাউথ ব্লক। বিদেশ মন্ত্রক মনে করে, সীমান্ত নিয়ে বর্তমান ব্যবস্থাটি যথেষ্ট। বিষয়টি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জটিলতা বাড়িয়ে লাভ নেই। চিনের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কমানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
খুরশিদের বক্তব্য, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে একটি পথে সাফল্য এলে তার মাধ্যাকর্ষণ প্রভাব অন্য ক্ষেত্রেও এসে পড়ে।” এই ‘মাধ্যাকর্ষণ’ প্রভাবের আশাতেই কূটনৈতিক প্রস্তুতি শুরু করেছে নয়াদিল্লি। চিনা প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়ে দু’দেশের যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, ভারত-চিন-মায়ানমার-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক করিডর গঠন, চিনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির মতো বিষয়গুলি গুরুত্ব পাবে। |