নির্বাচনের প্রাক্কালে নিউ ইয়র্ক টাইমসের পাকিস্তান ব্যুরোর প্রধানকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী। ডেক্লান ওয়ালশ নামের ওই সাংবাদিক পাকিস্তানে প্রায় ন’বছর আছেন। বৃহস্পতিবার দুই বাক্যের এক চিঠিতে তাঁকে জানানো হয়, অবাঞ্ছিত কাজের জন্য তাঁর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে পাকিস্তান ছাড়তে হবে। অর্থাৎ ভোটের দিন, শনিবার রাতেই সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এগ্জিকিউটিভ এডিটর এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন। পাকিস্তানে এ বারের নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রথম কোনও সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করল। তবে ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। একাধিক বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নির্বাচনী প্রচারে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন ইমরান খান। বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ছেলেকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। সব মিলিয়ে এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমের উপর কোপ নেমে আসায় চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল।
|
যত ইচ্ছে প্রচার কর কিন্তু বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ভুললে চলবে না, পই পই করে বলে দিয়েছিল ছেলেরা। তাদের সেই সাবধানবাণী সে দিন উড়িয়ে দিতে পারেননি তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান। মঙ্গলবার লাহৌরের গালিব মার্কেটের জনসভায় তাই কুর্তার নীচে পরে গিয়েছিলেন ওই বিশেষ জ্যাকেট। ১৫ ফুট উঁচু ফর্কলিফ্ট থেকে তিনি যখন পড়ে যান, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের মোটা আস্তরণের দৌলতেই এ যাত্রায় অল্পের উপর দিয়ে রক্ষা পান পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক। স্ত্রী জেমাইমার সঙ্গে ইমরান খানের ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে ২০০৪ সালে। দুই ছেলে ১৬ বছরের সুলেমন ও বছর চারেকের কাসিমকে নিয়ে জেমাইমা এখন লন্ডনবাসী। সেখানে টিভিতে বাবার পড়ে যাওয়ার খবর দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছে দুই ছেলেই।
|
হঠাৎই বেজে উঠল বিপদঘণ্টি। ছুটোছুটি পড়ে গেল হোয়াইট হাউসে আগুন লেগেছে, আগুন! বের করে দেওয়া হল সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহকদের। পরে হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ জানান, “বাড়ির পশ্চিম দিকের ট্রান্সফর্মারে গোলযোগ দেখা দিয়েছিল। তা থেকেই ধোঁয়া বেরনোয় বিপদঘণ্টি বেজে ওঠে। দ্রুত সারিয়ে ফেলা হয়েছে তা।” এ-ও জানানো হয়, ওবামা পরিবারের সকলেই সুস্থ আছেন।
|
গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে তুরস্কের রেহানলি শহরে নিহত হলেন অন্তত ৪০ জন। আহত শতাধিক। রেহানলি সিরিয়ার সীমান্তঘেষা একটা শহর। সিরিয়ায় রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চলাকালীন অনেকেই দেশ ছেড়ে রেহানলিতে আশ্রয় নিয়েছে। তারই জেরে হয়তো এই বিস্ফোরণ, আশঙ্কা প্রশাসনের। উল্লেখ্য, আগেও বিস্ফোরণে আক্রান্ত হয়েছে রেহানলি। |