|
|
|
|
লাদাখ অতীত, চিন সফরে খুরশিদ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
লাদাখ বিতর্ক পিছনে ফেলে চিন গেলেন সলমন খুরশিদ। দু’দিনের সফরে আজ বিকেলে বেজিং গিয়ে পৌঁছন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং জানিয়েছেন, চিনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন খুরশিদ। এ মাসের শেষের দিকে চিনা প্রধানমন্ত্রীর ভারতে যাওয়ার কথা। সেই সফরে আলোচনার বিষয়সূচি নিয়েই মূলত দু’জনের কথা হবে।
|
বেজিঙে খুরশিদ। |
ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সম্প্রতি কালো ছায়া ফেলেছিল লাদাখ বিতর্ক। গত ১৫ এপ্রিল ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ১৯ কিলোমিটার ভিতরে এসে দেপসাং এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিল চিনা সেনা। এই ঘটনার জেরে খুরশিদের চিন সফর বাতিল করার দাবি তুলেছিল বিজেপি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় লাদাখ সমস্যার সমাধান হয়েছে। কোনও রকম দুঃখপ্রকাশ না করলেও নিজেদের এলাকায় ফিরে গিয়েছে চিনা সেনাবাহিনী।
বিরোধীরা যতই সরব হোক, লাদাখের ঘটনাকে স্থানীয় স্তরে সমস্যা বলেই আখ্যা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। চিনের তরফেও অন্তত প্রকাশ্যে বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। হুয়া চুনিং আজ বলেন, “সম্প্রতি চিন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে কিছু বিবাদ হয়েছিল। কিন্তু দু’পক্ষই অত্যন্ত সুচিন্তিত ভাবে বিষয়টি সামলেছে, যাতে দু’পক্ষেরই স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।”
সে দেশের সরকারি দৈনিকও এই ঘটনাকে ‘চিন-ভারত সম্পর্কে একটা ছোট কাঁটা’ বলে বর্ণনা করেছে। দৈনিকটির অভিযোগ, দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তিক্ত করার জন্য পশ্চিমী শক্তির ইন্ধন রয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক উত্তেজনা তেমন সম্ভাবনা দেখা দেওয়ার জায়গায় যায়নি।
চিনের তরফে এখন এ কথা বলা হলেও কূটনৈতিক সূত্রের মতে, রীতিমতো ছক কষেই লাদাখে সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করেছিল সে দেশের সেনাবাহিনী। চিন চায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মূল আলোচ্য হোক সীমান্ত সমস্যা। ভারত চায় বাণিজ্য। তাই লি কেকিয়াংয়ের দিল্লি সফরের আগে সুকৌশলে সীমান্ত সমস্যাকে সামনে নিয়ে এল চিন। পাশাপাশি, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়ে ভারতকে তারা কোণঠাসা করে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও কূটনীতিকদের একটা বড় অংশের মত। এই কৌশলের পাল্টা জবাব দিতে ইরানের ছাবাহার বন্দর উন্নয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ছাবাহারের কাছেই পাকিস্তানের গদর বন্দর উন্নয়নের দায়িত্ব রয়েছে চিনের হাতে। গদর থেকে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখত চিন। ছাবাহারের দায়িত্ব নিয়ে ভারত এক রকম তারই জবাব দিল।
দুই প্রতিবেশীর এই টানাপোড়েন যে অব্যাহত থাকবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে চিনা দৈনিকটি বলেছে, “চিন-ভারত সীমান্ত সমস্যা হয়তো মিটবে না। কিন্তু এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার মতো আত্মবিশ্বাস ও প্রজ্ঞা দু’দেশের নেতাদেরই রয়েছে।”
|
পুরনো খবর: চিন-ভারত বৈঠকে কথা হবে সীমান্ত সমস্যা নিয়েই |
|
|
|
|
|