|
|
|
|
হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার |
দেশের প্রথম মহিলা জওয়ান অপহৃত |
সব্যসাচী ঘোষ • মালবাজার |
দেশের প্রথম মহিলা সেনা জওয়ান শান্তি টিগ্গাকে শুক্রবার ভোরে ডুয়ার্সের চালসা থেকে নাগরাকাটা যাওয়ার রাস্তায় উদ্ধার করা হয়েছে। মহাবাড়ি-দেওপানি বস্তি এলাকায় হাতি আসছে কি না দেখার জন্য একটি পাকা নজরমিনার তৈরি করা হচ্ছে। তারই একটি স্তম্ভের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিলেন তিনি। তাঁর চোখও বাঁধা ছিল। শান্তিদেবী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, “বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ চালসা বাজার এলাকা থেকে আমাকে অপহরণ করে কিছু দুষ্কৃতী। পরে আমার পকেটে দু’পৃষ্ঠার একটি চিঠি দিয়ে চলে যায়।” বাংলায় লেখা সেই চিঠিতে লগ্নি সংস্থার দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করা হয়েছে। চিঠির বেশ কয়েকটি বাক্য অবশ্য অসম্পূর্ণ। |
|
নজরমিনার স্তম্ভের সঙ্গে বাঁধা শান্তি টিগ্গা। —নিজস্ব চিত্র |
কারা তাঁকে অপহরণ করেছিল বা ওই চিঠিই বা কারা লিখেছে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা মেলেনি। শান্তিদেবীকে মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির এসপি অমিত জাভালগি বলেন, “মনে হচ্ছে উনি ঘোরের মধ্যে রয়েছেন। একটু ধাতস্থ হলে ওঁর থেকে ফের পুরো ঘটনা শোনা হবে।” পুলিশ জেনেছে, শান্তিদেবীর পরিবারের কেউ কেউ লগ্নি সংস্থায় মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। তা ফেরত পেয়েছেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রেল সূত্রের খবর, শান্তিদেবীর স্বামী সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। তাঁর মৃত্যুর পরে জওয়ান পদে চাকরি পান শান্তিদেবী। ফৌজে যোগ দিলেও ডেপুটেশনে রেলের চালসা স্টেশনে পয়েন্টসম্যান হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ওই এলাকাতেই একটি বাড়িতে ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন। তাঁর দুই ছেলে ফালাকাটায় পড়াশোনা করে।
শান্তিদেবীর সঙ্গে সে-রাতে ওয়াকিটকি ছিল। আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম বীরেন্দ্র কুমার বলেন, “খোঁজ নিয়ে জেনেছি, বৃহস্পতিবার চালসা স্টেশনে ডিউটি শেষ করে শান্তিদেবী বাইরে যান। ভুল করে ওয়াকিটকি জমা দেননি। সেটি তাঁর সঙ্গেই ছিল।” শান্তিদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই ওয়াকিটকি ও তাঁর নিজের মোবাইল দু’টিই দুষ্কৃতীরা বন্ধ করে দেয়। |
|
|
|
|
|