খেলার মাঠে তৃণমূল নেতাকে কুপিয়ে খুন কুলতলিতে
খেলার মাঠে মঞ্চে উঠে এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে, কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির কুন্দখালি-গোদাবরী পঞ্চায়েতের অম্বিকানগর গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম ইয়াদ আলি গাজি (৩২)। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। তিনি কুলতলি ব্লকের তৃণমূলের যুব সভাপতি ছিলেন। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবারের লোকজন। অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলা চলছিল। মাইক হাতে মঞ্চ থেকে খেলা পরিচালনা করছিলেন ইয়াদ। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মঞ্চের সামনে বোমাবাজি শুরু হয়। আতঙ্কে দর্শকেরা পালান। খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তার পরে আট-দশ জন দুষ্কৃতী মঞ্চে উঠে ইয়াদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁর বুকে-পিঠে গুলি চালায়। তার পরে চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। এর পরে হেঁটেই এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় ইয়াদকে জামতলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলে তদন্তে আসেন পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী। নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেকে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে দেওয়াল-লিখনও শুরু করেছিলেন ইয়াদ।
পুলিশ জানায়, ইয়াদের বিরুদ্ধে কয়েকটি ফৌজদারি মামলা চলছে। তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। পুলিশ সুপার বলেন, “খুনের নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
নিহতের দাদা সাবেক আলির অভিযোগ, “দিন কয়েক ধরেই ভাইকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাঁকে খুন করেছে।” অভিযোগ উড়িয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের সংগঠন জোরদার নয়। মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেও খুন হয়ে থাকতে পারেন ওই ব্যক্তি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.