শহর গম্ভীর নয়। শহরে গম্ভীর।
বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা পর্যন্ত কিন্তু সত্যিই গম্ভীর আবহাওয়া ছিল ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থার (জেএসসিএ) অন্দরে। সব আয়োজনই বৃথা যাবে যদি শনিবার মাঠ না ভরে। ঘরের ছেলে ধোনির ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলা নেই। যাদের খেলা রয়েছে, যাদের দ্বিতীয় ঘরের মাঠ রাঁচি সেই কেকেআর পেপসি আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়ার প্রহর গুনছে। কিন্তু নাইটদের পুণে-জয়ই নতুন অক্সিজেন দিল শহরকে।
নেপথ্যে অবশ্যই নাইট অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। তাঁর খেলা দেখতেই আপাতত অধীর অপেক্ষা রাঁচিবাসীদের। যাঁর সঙ্গে আবার রাঁচিরই ভূমিপুত্র তথা ‘সাবরিয়া’র গৃহকর্তার ইদানিং সম্পর্কটা তলানিতে বলে ক্রিকেটমহলের মত। রাঁচির তরুণ প্রজন্ম অবশ্য নিরপেক্ষ। রবিবার আইপিএল ভেন্যু হিসাবে রাঁচির অভিষেকের দিন গ্যালারি ভরিয়ে, গলা ফাটিয়ে কেকেআরকে জিতিয়ে এখান থেকে ফেরত পাঠাবেন বলে যেন পণ করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে। নাইটদের ফ্লাইট বীরষা মুণ্ডা বিমানবন্দরের মাটি ছুঁয়েছে খবর আসতেই ভিড়ে ঠাসা কড্রু ডাইভারশনের রাস্তায় র্যাডিশন ব্লু হোটেলের সামনে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করে দিল পুলিশ। ১৫ তারিখ পর্যন্ত এখানেই আস্তানা কেকেআরের। টিমবাস হোটেলে ঢোকার সময় ক্রিকেটপ্রেমীদের ঢল থেকে আওয়াজ উঠল মনোজ তিওয়ারিদের নামে। আর মাঠে গিয়ে খেলা দেখার ব্যাপারে রাঁচির মানুষ অনেকটা পথের পাঁচালির অপুর মতো। চোখে যেন বিস্ময় আর আচ্ছন্নভাব। |
|
|
ধোনির শহরে পা গম্ভীর, পাঠানদের। ছবি: প্রশান্ত মিত্র |
|
নিজের শহরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেখার আনন্দটা ঠিক কেমন, তার সঙ্গে রাঁচির মানুষের পরিচয় ঘটেছে সবে গত জানুয়ারিতে। আর আইপিএল মানেই তো মাঠে চার-ছয়ের ফুলঝুরি। ফলে নতুন স্বাদের অপেক্ষায় রাঁচির মানুষ। জেএসসিএ-র পিচপ্রস্তুতকারী বাসুদেবের কথায়,“সেই ওয়ান ডে ম্যাচের তুলনায় পিচ এ বার অনেক আলাদা। গরমে খটখটে হয়ে ওঠা পিচে রোলার চালিয়ে-চালিয়ে একেবারে সিমেন্টের ফ্লোরের মতো করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাটসম্যানদের পেটানোর পক্ষে আদর্শ উইকেট। প্রচুর বিগ হিট দেখা যাবে।”
শনিবার কোহলিদের বেঙ্গালুরু এসে পৌঁছচ্ছে। এখন শুধু রবিবারের অপেক্ষা। বাইশ গজ থেকে বল উড়ে গিয়ে গ্যালারিতে পড়ার দৃশ্য দেখবেন রাঁচির দর্শক। সেটা গেইল না গম্ভীরকার ব্যাট থেকে বেরোবে সেটাই দেখার। |