আমি নিশ্চিত, আমাদের শহরের অনেকেই শুক্রবার মাঝরাত্তির পর্যন্ত কোটলার ম্যাচটা দেখলেন। টেনশনও হল কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাভের লাভ কিছু হল না। আসলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে শুক্রবার বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু হেরে গেলে প্লে অফের দৌড়ে ফের ভেসে উঠতে পারত নাইটরা। কিন্তু ‘কিলার’ কোহলি যে ভাবে নাইটদের অঙ্কের হিসাবও শেষ করে দিল!
সোজাসুজি বলছি, পেপসি আইপিএলে কেকেআরের আর কোনও আশাই পড়ে নেই। অনেকে হয়তো বলবেন, কেন? কেকেআর পরের তিনটে ম্যাচ জিতলে তো ১৬ পয়েন্টে পৌঁছতে পারে! বেঙ্গালুরু যদি পরের তিনটে ম্যাচ হারে, সানরাইজার্সও হারে, তা হলে ওদেরও পয়েন্ট ১৬-ই হবে। রান রেটের ব্যাপার থাকতে পারে তখন। আমি অতটা আশাবাদীর দলে নিজেকে রাখছি না। মনে রাখা ভাল, আরসিবি-র এখনই ১৬ পয়েন্ট হয়ে গিয়েছে। ঘরের মাঠে এখনও ওদের দু’টো ম্যাচ বাকি। কে না জানে, ঘরের মাঠে ওরা রাজস্থান রয়্যালসের মতোই ভয়ঙ্কর!
এটা যদি দ্রাবিড়ের টিমের সঙ্গে গেইলদের মিল হয়, তা হলে আরও একটা মিল আছে। রাজস্থানের মতোই ওরা অ্যাওয়ে ম্যাচে খুব খারাপ! আজ তো একটা সময় মনে হচ্ছিল, ক্যাপ্টেন কোহলির ও রকম দুর্ধর্ষ ইনিংসের (৫৮ বলে ৯৯) পরেও হেরে যেতে পারে আরসিবি। কিন্তু দিল্লি জিতল না দু’টো কারণে। এক, কোহলি আর ডে’ভিলিয়ার্স মিলে রানটাকে (শেষ ৪ ওভারে ৭৭) যেখানে নিয়ে গিয়েছিল, সেটা ছুঁতে গেলে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সঙ্গে একটু ভাগ্যও লাগে। দেখবেন, একটা টিম যখন জিততে থাকে, তখন এ রকম ক্লোজ ম্যাচ বার করে দেয়। কিন্তু হারলে আবার উল্টোটা হয়। দিল্লির ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টা হচ্ছে। দু’নম্বর কারণ, জয়দেব উনাদকটের অবিশ্বাস্য বোলিং। পেপসি আইপিএলে ফকনার ছাড়া কেউ পাঁচ উইকেট নিল। মনে করিয়ে দিই, এই ছেলেটাও কিন্তু কেকেআরের ছিল এত দিন!
আসলে টিম তৈরি থেকে শুরু করে স্ট্র্যাটেজি নাইটদের এ বার কিছুই ঠিক হয়নি। সঞ্জু স্যামসনকে ছেড়ে দিল। উনাদকটকে ছেড়ে দিল। গেইলকে নিয়ে এখনও ভুগতে হয়। তার উপর নাইটরা জেতার জন্য স্রেফ একটা ফ্যাক্টরের উপরেই নির্ভর করেছিল। ইডেনের টার্নার আর নারিন। কিন্তু এ ভাবে টি-টোয়েন্টি হয় না। অ্যাওয়ে ম্যাচে গিয়ে মস্তানি দেখালে তবেই না তুমি চ্যাম্পিয়ন!
|