তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে এবং ঘরছাড়াদের ফেরানোর দাবিতে পুলিশের কাছে স্মারকলিপি দিল হুগলি জেলা বামফ্রন্ট। যদিও শুক্রবার দুপুরে স্মারকলিপি নিতে কোনও পদস্থ পুলিশ কর্তা সুপারের অফিসে হাজির ছিলেন না বলে অভিযোগ তুলেছে তারা।
জেলা পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে আগে লিখিত ভাবে জানানো হয়নি। তা ছাড়া, মুখ্যমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে জেলার পুলিশ কর্তারা সকলেই ব্যস্ত ছিলেন।” |
চুঁচুড়ার সভায় সুজন চক্রবর্তী। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন একই দাবিতে চুঁচুড়ার আখনবাজারে সভাও করেছে বামফ্রন্ট। সেখানে ছিলেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী, হুগলি জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী-সহ বামফ্রন্ট নেতারা। সিবিআই তদন্ত শুরু হলে সারদা-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলকে বিপাকে পড়তে হতে পারে বলে কটাক্ষ করেন সুজনবাবু। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শুক্রবারে আদালতের রায়ে সরকারের গালে ‘চড় পড়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসএফআই নেতারা দিল্লিতে রাজ্যের মন্ত্রীদের নিগ্রহ করার পরে রাজ্য জুড়ে সিপিএমের বহু অফিস, বাড়ি আক্রান্ত হয়েছিল। ওই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খানাকুলের পাতুলে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের ৪০টি বাড়িতে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। সুজনবাবু ওই ঘটনায় তৃণমূল-সহ পুলিশকেও একহাত নিয়েছেন। তাঁর কথায়, “ওখানে যখন আগুন জ্বলছিল, সেখানকার পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে।” |