|
|
|
|
ব্যাহত জনজীবন |
ঝড়ের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত ত্রিপুরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
রাজ্যজুড়ে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ত্রিপুরায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। লাগাতার বর্ষণে স্বাভাবিক জনজীবনও বিপর্যস্ত। আগরতলা-সহ শহরতলির নিচু এলাকা জলমগ্ন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবলসিং গ্রাম হয়ে মোহনপুর-খোয়াই সীমান্তে যাওয়ার পথে একটি পাহাড়ে বুধবার ধস নামায় পাহাড় সংলগ্ন একটি বাড়ি সম্পূর্ণ চাপা পড়ে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছিল সে সময়ে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাড়িতে তখন দু’জন ব্যক্তি ছিলেন। দু’জনেই ধসে চাপা পড়ে গিয়েছেন। পুলিশ এবং টিএসআর জওয়ানরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখনও উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। রাজ্য পুলিশ ডিআইজি নেপাল দাস বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত এক জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’’
ঝড়ের তাণ্ডবে গত কালও যাত্রাপুর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে। ভেঙে পড়েছে গাছপালা। এলাকায় যানবাহন চলাচলও বিঘ্নিত হয়েছে। জলমগ্ন এলাকায় যানবাহন স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারছে না। তবে কোনও প্রাণহানির খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
এ দিকে, দুর্বল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য আগরতলা-সহ শহরতলির নিচু এলাকায় জমা জল সরতে সময় লাগছে। ১২টি পাম্প বসিয়ে জমা জল সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান পুরপ্রধান প্রফুল্লজিৎ সিন্হা। তিনি বলেন, ‘‘নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য পুরসভার তরফে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ড্রেনগুলির সংস্কার করা হচ্ছে।’’ প্রবল বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি কোনও কোনও এলাকায় ব্যাপক বজ্রপাত হয়েছে। ত্রিপুরার দক্ষিণে সাব্রুমের একটি গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। রাজ্যের উত্তরে কৈলাশহরে একই কারণে প্রাণ হারান একজন মহিলা। কল্যাণপুরে অনেক বাড়িতে জল ঢুকে পড়ায় বহু পরিবার অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড়ে রাজ্যের নানা স্থানে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে মারাত্মক ভাবে। এখনও অনেক জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। আপাত হিসেবে ক্ষয়ক্ষতি ২ কোটির টাকার বেশি বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী মানিক দে।
গত তিন-চার দিন ধরেই ত্রিপুরায় কালবৈশাখীর প্রবল তাণ্ডব চলছে। রাজ্য আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা অবশ্য আজ, শুক্রবার কিছুটা আশার বাণী শুনিয়েছেন। আবহাওয়া দফতরের প্রধান দিলীপ সাহা বলেন, ‘‘আগামী ১১-১২ মে থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হবে। যে ঝড় এবং প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে, কালবৈশাখীর প্রভাবে এটা এ সময়ে হয়েই থাকে। এটাকে টর্নেডো বলা যায় না।’’ |
|
|
|
|
|