|
|
|
|
কাছাড়ে ধৃত মাওবাদী পরেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মহেশজিকে জেরা করে মিলল পরেশদার সন্ধান। তবে, এই পরেশ ‘বরুয়া’ নন। পরেশ ছদ্মনামের মাও নেতার আসল নাম অনুকুলচন্দ্র নস্কর।
২৬ এপ্রিল অসম পুলিশ মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় নেতা অক্লান্ত রাভা ওরফে মহেশজি এবং সিরাজ রাভা ওরফে দীপেশকে গ্রেফতার করে। তখনই জানা যায়, ১৯৯৬ সাল থেকে নামনি অসমে মাও মতবাদ প্রচারিত হচ্ছে। মহেশজি আরও জানিয়েছিলেন, বরাক উপত্যকাতেও গত কয়েক বছর ধরেই মাও নেতারা ঘাঁটি গেড়েছেন। এ নিয়ে জেলা পুলিশকে সতর্ক করা হয়। এরপরই, গতকাল কাছারে গ্রেফতার করা হয় মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পরেশদা’কে।
অসম পুলিশের বিশেষ বাহিনী সূত্রের খবর, অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরাকে ওই মাওবাদী নেতাকে ধরতে ফাঁদ পাতা হয়। একটি হোটেল থেকে গতকাল রাতে ধরা পড়েন পরেশ। আজ বিকালে তাঁকে গুয়াহাটি নিয়ে আসা হয়। অসম পুলিশ তাকে পাঁচদিনের হেফাজতে নিয়েছে। এরপর, তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আদালত চত্বরে পরেশদা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “কোন মামলায় পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করেছে বুঝতে পারছি না। ওরা বলছে আমি না কি মাওবাদী!”
পুলিশ সূত্রের খবর, ৬৫ বছরের পরেশদার আদি বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। রাজ্য পুলিশের আইজি (আইনশৃঙ্খলা) এস এন সিংহ জানিয়েছেন, ধৃত মাওবাদী নেতা ১৯৬৭ সালে ওই সংগঠনে যোগ দেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন ১৯৮৫ সালে। ২০০৪ সালে হন মাওবাদী পলিটব্যুরো সদস্য। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুর, অরুণাচল প্রদেশে মাও আদর্শ প্রচার করাই তাঁর দায়িত্ব ছিল। জেরায় মাও নেতা অক্লান্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, বরাকের কাছার, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি জেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রাম পর্যায়ে কাজ করছেন পাঁচজন মাওবাদী নেতা। বাংলা সীমানার গ্রামগুলিতেও মাওবাদী মতবাদের প্রচার ও ঘাঁটি তৈরির কাজ চলছে। পুলিশ জানায়, ধৃত মাও-নেতাদের জেরা করতে অরুণাচল, মেঘালয়, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে পুলিশের দল এসেছে।
পরে অবশ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনসুকিয়া, শিবসাগর, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, লখিমপুর, ধেমাজি, কামরূপ ও গোয়ালপাড়ায় সক্রিয় ১৮১ জন মাওবাদীর তালিকা বানিয়েছে অসম পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। বরাক উপত্যকায় চা জনগোষ্ঠীর মধ্যে কাজ করা অরুণাচলের খামটি উপজাতিভু্ক্ত মাও নেতা শালিখ সিংখাইকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|