|
|
|
|
ব্যালটে ফেরার দাবি শিবসেনার |
কে পেলেন ভোট, জানাবে নয়া ইভিএম
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কাকে ভোট দিচ্ছেন তা এ বার দেখে নিন হাতে-নাতে।
সংশয় ছিল অনেক দিনের। বোতাম টিপলেই যে ভোট পড়ছে তা কি আদৌ যাচ্ছে পছন্দের প্রার্থীর ঘরে? না কি শাসক দলের কারচুপিতে চলে যাচ্ছে অন্য প্রার্থীর পক্ষে? ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চালু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন বুথ বা কেন্দ্রে মনোমত ফল না এলে ওই প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে আম-আদমি থেকে রাজনৈতিক দলগুলিকে। তাই ধোঁয়াশা কাটাতে আরও উন্নত ইভিএম চালু করার দিকে এগোল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংস্কারের উদ্দেশ্যে আজ দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি সম্পত। বৈঠকে উপস্থিত ছিল দেশের প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল। কমিশনের পক্ষে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোটারেরা ইভিএম মেশিনে দেওয়া ভোট সঠিক জায়গায় পড়ছে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। মেশিনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে বহু রাজনৈতিক দলও। সম্পত বলেন, “ওই সংশয় কাটাতে নতুন ইভিএম ব্যবহার করার বিষয়ে ভাবছে নির্বাচন কমিশন।”
নতুন ব্যবস্থায় ইভিএম মেশিনে থাকবে একটি মনিটর ও প্রিন্টার। ভোট দেওয়ার পরে আট থেকে দশ সেকেন্ডের জন্য তা কোন প্রার্থীর পক্ষে গিয়েছে সে কথা ফুটে উঠবে মনিটরে। একই কথা জানিয়ে দেবে প্রিন্টারও। দু’টি ফলই দেখতে পাবেন কেবল সংশ্লিষ্ট ভোটার।
সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূলের প্রতিনিধি ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “ওই প্রিন্ট আউট মেশিনেই থেকে যাবে। তা বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না ভোটাররা।” কোনও বুথের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ওই কাগজের মাধ্যমেই ফের ভোট গণনা করা হবে।
বৈঠকে উপস্থিত সিপিএম নেতা নীলোৎপল বসুর দাবি, “কোন পরিস্থিতিতে ফলাফল পুনর্গণনা হবে তা স্থির করার জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়ম করা হোক।” সিপিএমের ওই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূলও।
নয়া ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে রায় দিয়েছে অধিকাংশ দলই। কেবল শিবসেনা ও হিল পিপ্লস পার্টি ইভিএম বাতিল করে ফের কাগজের ব্যালটে ভোট করার দাবি জানায়। ডেরেকের বক্তব্য, “প্রিন্ট আউট গোপন রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে।” কিন্তু কবে থেকে চালু হবে নতুন ব্যবস্থা? আগামী লোকসভা নির্বাচনে নতুন ইভিএম ব্যবহারের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে কমিশন। লোকসভা ভোটে প্রায় ১৩ লক্ষ ইভিএম প্রয়োজন। যা সময় হাতে আছে তাতে অত নয়া মেশিন সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া নতুন পদ্ধতি ঠিক ভাবে কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয় উপনির্বাচনে। তবে আসন্ন হাওড়া উপনির্বাচনেও নতুন ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করা হবে না জানিয়েছে কমিশন। |
|
|
|
|
|