স্থানাভাবের কারণে ২০১৩-২০১৪ বর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ৪০ জন পড়ুয়াকে ভর্তি করানো যায়নি। একই কারণে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করানো যাবে না ছাত্র-ছাত্রীদের। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সিউড়ির ওই কেন্দ্রীয় স্কুলের অভিভাবকেরা জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন শুক্রবার। এই সমস্যার জন্য তাঁরা প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতাকে দায়ী করেছেন।
কীসের জট?
২০০৭ সালে সিউড়িতে এই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের সূচনা হয়। নিজস্ব ভবন না থাকায় স্কুল প্রথমে শুরু হয় ডাঙালপাড়ার একটি ভাড়া বাড়িতে। পরে সেখান থেকে বড়বাগানে স্থানান্তরিত হয় ওই স্কুল। নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় স্কুল হলে সেটি কোথায় হবে সেই জায়গা দেখে দেওয়ার ভার রাজ্য সরকার বা জেলা প্রশাসনের হাতে। আর কেন্দ্রীয় অর্থব্যয়ে তৈরি হবে স্কুল ভবন। বার বার স্থান পরিবর্তন করায় অভিভাবকেরা প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই যতদিন স্কুলের নির্দিষ্ট ভবন না হচ্ছে ততদিন জেলাপরিষদের আওতায় থাকা গোলবাড়ি ভাড়ায় ওই স্কুলকে দেওয়া হয়। কিন্তু ভাড়া বাবদ বকেয়া প্রায় ২১ লক্ষ টাকা কে মেটাবে? স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল বিনোদকুমার বেহেরা বলেন, “ভাড়ার টাকা আমার দেওয়ার কোনও এক্তিয়ার নেই। সেটা দেবেন জেলাশাসক। কিন্তু সেটা না হয়ে জেলাপরিষদ ও জেলাশাসক স্কুলকেই টাকা দিতে বলছেন।” জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “স্কুল কেন্দ্রের। তা হলে ভাড়ার টাকা জেলা প্রশাসন দেবে কেন।” এই কাজিয়ায় জেলাপরিষদ স্কুলকে ওই ভবনের ষষ্ঠ-তলা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি। ইতিমধ্যে স্কুলের জন্য জায়গা দেখে নকশা অনুমোদনের জন্য দিল্লি পাঠানো হয়েছে। তবে স্কুল ভবন তৈরি হতে এখনও বছর দু’য়েক লাগবে। এই সময়ে স্কুল চলবে কী করে? অভিভাবক ও শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়, মহম্মদ সাইফুদ্দিন, কাকলি দাস, সঙ্ঘমিত্রা কবিরাজদের ক্ষোভ, “এতগুলো ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটা প্রশাসনের অবশ্যই দেখা উচিত। যেখানে পদাধিকার বলে জেলাশাসক স্বয়ং স্কুলের চেয়ারম্যান সেথানে এমনটা হবে কেন।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, “ছাত্র ছাত্রীদের কথা কথা ভেবে গোলবাড়িতে ওই স্কুলকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে ভাড়ার টাকাটা তো পেতে হবে।” |