|
|
|
|
মশা নিয়ন্ত্রণ |
কাজের রিপোর্ট নিলেন মুখ্যমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মশা নিয়ন্ত্রণে কলকাতা, হাওড়া এবং বিধাননগরে কাজ কতটা এগিয়েছে, তার রিপোর্ট নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার কাজে কিছুটা সন্তুষ্ট হলেও হাওড়া ও বিধাননগরে মশা দমনের কাজে আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি।
গত ২২ এপ্রিল ওই সব পুরসভার কর্তাদের নিয়ে মহাকরণে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে এক জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে তিনি জানিয়েছিলেন, ১৫ দিন পরে ফের বৈঠক হবে। কে কতটা কাজ করছে তার রিপোর্ট দেখাতে হবে। সেই মতো বুধবার মহাকরণে ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠকে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ, বিধাননগরের পুর-চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী-সহ পুর ও স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা।
শহরে মশা নিয়ন্ত্রণে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ২২ পাতার রিপোর্ট দেয় পুরসভা। শহরের নানা এলাকায় কী ভাবে মশা দমনের কাজ চলছে, কর্মীরা কী ভাবে তেল ছড়াচ্ছেন, কতটা ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে সব জানানো হয়েছে রিপোর্টে। আক্রান্ত রোগীর পাশে কী ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে পুরকর্মীরা, তা-ও জানানো হয়েছে।
হাওড়ার জেলাশাসক জানান, গত কয়েক দিনে শহরের প্রায় ৫ হাজার বাড়িতে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া, শহরের বিভিন্ন এলাকায় মশা দমনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মহাকরণ সূত্রের খবর, গত বছর ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ায় উদ্বেগে ছিল রাজ্য প্রশাসন। কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় মশাবাহিত ওই রোগ বাড়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। সময়ে কাজ হয়নি কেন, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জরুরি বৈঠকে তিনি জানান, বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধে নামতে হবে পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরকে।
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে কলকাতা শহরে সাত জনের রক্তে ডেঙ্গির সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহানগরীর বাসিন্দা। বাকি পাঁচ জন বহিরাগত। গত বছর বিধাননগর পুর এলাকায় ডেঙ্গির দাপট ছিল সবচেয়ে বেশি। মহাকরণ সূত্রের খবর, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সনকে বলেন, “শুধু মাত্র পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর নয়, প্রত্যেক কাউন্সিলরকে এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।”
এ দিনের বৈঠকে পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, গত এক মাসে পুর-স্বাস্থ্য দফতর শহরের ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার বাড়িতে সমীক্ষা করেছে। কোথাও মশার লার্ভা আছে কি না, পরিষ্কার জল জমে আছে কিনা সে সবই দেখা হয় ওই সমীক্ষায়। তিনি জানান, কয়েকটি জায়গায় পরিষ্কার জমা জলে মশার লার্ভা মিলেছে। সেগুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে একটি সিডিও বার করছে কলকাতা পুরসভা। এ দিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ডেঙ্গি প্রতিরোধে কলকাতা, হাওড়া এবং বিধাননগর পুরসভার কাজের মধ্যে আরও সমন্বয় আনার নির্দেশ দেন। |
|
|
|
|
|