ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ৫ বিহারের বাসিন্দাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি খালপাড়া সংলগ্ন নতুন পাড়া এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি পাইপগান, ১২ রাউন্ড গুলি, একটি ছুরি, লোহার রড এবং দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম জয়দেব বসাক, বলিরাম পরিহার, বাবুলাল চৌধুরী, বিশ্বনাথ মণ্ডল ও মহম্ম রজ্জাক। রজ্জাকের বাড়ি আড়ারিয়, জয়দেবের বাড়ি পূর্ণিয়ায় এবং বাকিদের বাড়ি বিহারের কাটিহারে। ওই দলে থাকা আরও দু’জন পালিয়ে গিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “১০০ ডায়ালে একটি ফোনের ভিত্তিতে আমরা ওই দলটির গতিবিধি জানতে পারি। এর পরেই পুলিশ সেখানে যায়। দুষ্কৃতী দলের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেক সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। তাদের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়িক এলাকা খালপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে সমাজবিরেধীদের দৌরাত্ম্য নিয়ে অভিযোগ উঠছিল। সম্প্রতি ওই এলাকাতেই একটি দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করে জনতার হাতে পড়ে দুই দুষ্কৃতী। তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। তার আগে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রাজস্থান থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর থেকে এলাকার বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে সরব হন। সিপিএমের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামনকে স্মারকলিপি দিয়ে পুরো বিষয়টি জানানো হয়। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। খালপাড়ার বাসিন্দা সিপিএম নেতা সঞ্জয় টিব্রুয়াল বলেন, “খালপাড়া থেকে উত্তরবঙ্গ শুধু নয়, ভিন রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। নানা জায়গা থেকে এখানে লোকজন যাতায়াত করে। একের পর এক ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। সে জন্যই আমরা পুলিশকে নজরদারি বাড়ানোর আর্জি জানাই। তাতেই ওই দুষ্কৃতী দল ধরা পড়েছে।” ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীর সঙ্গে শিলিগুড়ির কিছু দুষ্কৃতীর সম্পর্ক রয়েছে। কোথায় কী ভাবে অপরাধ করবে সে ব্যপারে পুরো ছক তৈরি করে শিলিগুড়ির দুষ্কৃতীরা। পরে সেটা জানানো হয় বিহার বা অন্য রাজের দুষ্কৃতীদের। সেই মতো শিলিগুড়িতে ঢুকে ডাকাতি করে তারা সীমান্ত টপকে ফের বিহারে গা ঢাকা দেওয়ার ছক তৈরি করে। শিলিগুড়ির কাদের সঙ্গে ওই দুষ্কৃতীদের যোগাযোগ আছে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বলেন, “স্থানীয় দুষ্কৃতীদের যোগাযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুটি মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।” |