সারদা কাণ্ডের পরে ভাল করে খোঁজ না-নিয়ে কোনও অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন না শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আরও এক ধাপ এগিয়ে শিল্পমন্ত্রী তাঁর দফতরকে জানিয়েছেন, কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানাতে হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা সংগঠনকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে যে, তারা বেআইনি আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নয়। আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে সেই ‘লিখিত ঘোষণা’ দফতরে জমা দিলে তবেই শিল্পমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বিবেচনা করবেন। বুধবার মহাকরণে পার্থবাবু জানান, রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী হিসেবে সতর্ক থাকার ব্যাপারে তাঁর বাড়তি দায়িত্ব থেকে যায়। পার্থবাবুর এমন সিদ্ধান্ত মূলত বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থাগুলি এড়িয়ে চলতেই। সারদা কাণ্ডে কিছু নেতা-মন্ত্রী-সাংসদের নাম জড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও এ ব্যাপারে তাঁর মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের সতর্ক হতে বলেছেন। অচেনা ব্যক্তিকে সাক্ষাতের সময় দেওয়ার আগে তাঁর সম্পর্কে খোঁজ নিতে বলেছেন মমতা। তারই সূত্র ধরে শিল্পমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত বলে ধারণা। সম্প্রতি রাজারহাটে বেসরকারি স্কুলের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে পার্থবাবু জেলাশাসক, স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং ওসি-র কাছে স্কুলের পরিচালক সংস্থার ব্যবসার ব্যাপারে খোঁজ নেন।
|
চলতি বছরের মাধ্যমিকের ফল এ মাসের মধ্যেই বেরোতে পারে। এখনও পর্যন্ত যা অগ্রগতি, তাতে এমনটাই আশা করছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। পর্ষদের প্রশাসক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার বলেন, “প্রায় সব উত্তরপত্রের নম্বরই জমা পড়ে গিয়েছে। অল্প কিছু বাকি আছে। সেগুলিও দ্রুত পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই আশা করছি, এ মাসের মধ্যেই ফল বেরোবে।” গত বছর দেরি করে নম্বর জমা দেওয়ায় শ’খানেক প্রধান পরীক্ষককে শো-কজ করেছিলেন পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি চৈতালি দত্ত। সেই পদক্ষেপের সুফল হিসেবেই এ বার সময়মতো নম্বর জমা পড়ছে বলে মনে করেন কল্যাণময়বাবু। সেই সঙ্গে তিনি জানান, পর্ষদ-সচিবের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আপাতত ওই পদটি ফাঁকা। সেই জন্য এ বার মাধ্যমিকের মার্কশিটে সচিবের বদলে থাকবে প্রশাসকের স্বাক্ষর। এ বছর মাধ্যমিক শুরু হয়েছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ ছেলেমেয়ে ওই পরীক্ষা দিয়েছে।
|
প্রায় চামড়া হয়ে যাওয়া রুটির বদলে রাতেও গরম ভাত। ডাল-তরকারিও গরম। খাবার দেওয়ার অনেক পরে খেলে রুটি শক্ত হয়ে যেতে পারে ভেবেই জেল-কর্তৃপক্ষ ভাত দেওয়ার পক্ষপাতী। চাইলে রুটিও মিলবে। গভীর রাতে খিদে পেতে পারে ভেবে দেওয়া হচ্ছে দু’টো করে বিস্কুট। চলতি মাসেই বন্দিদের নতুন খাদ্য-তালিকা চালু হবে বলে মহাকরণের খবর। এত দিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রাতের খাবার দিয়ে কয়েদিদের ওয়ার্ডে ঢুকিয়ে দেওয়া হত। এ বার থেকে খাবার দেওয়া হবে ৯টার মধ্যে। আগে গরমে অনেক ক্ষেত্রে খাবার নষ্ট হয়ে যেত। খালি পেটেই শুয়ে পড়ত হত বন্দিদের। এ বার রুটিন বদলের সঙ্গেই আসছে রাতের নতুন মেনু। আইজি (কারা) রণবীর কুমার বলেন, “নানা কারণেই পুরনো ব্যবস্থা পাল্টানোর দরকার ছিল। লোকে পেটের জন্যই অপরাধ করে। সংশোধনাগারে এসে পেটের ভাত না-জুটলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।”
|
রাজ্যের আরও ছ’টি জেলার ব্লক-ভিত্তিক জমির চরিত্রগত মানচিত্র তৈরি হল। জেলাগুলি হল হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদ। কাল, শুক্রবার মহাকরণে ওই ‘ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যাপ’-এর সিডি প্রকাশ করবেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বাম আমলে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান ও বীরভূমের ব্লক-ভিত্তিক জমির মানচিত্র তৈরি করেছিল ভূমি দফতর। ওই দফতরের এক কর্তা বলেন, “জমি-মানচিত্রে শিল্প, কৃষি, পর্যটন, জলাভূমি ও শহরের বসতি এলাকা দেখানো হয়েছে আলাদা ভাবে। কৃষিজমির উর্বরতার শ্রেণি বিন্যাস করে এক, দুই এবং বহু-ফসলি জমি, এমনকী অনুর্বর জমিও চিহ্নিত হয়েছে।” সরকারি কর্তারা মনে করছেন, জমির এই শ্রেণি বিভাজনে শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গে সঙ্গে কৃষিজীবীরাও উপকৃত হবেন। এই বছরেই বাকি জেলাগুলির জমি-মানচিত্রের কাজ শেষ হবে।
|
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা গৌতম দেবের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার অভিষেকের তরফে তাঁর আইনজীবী গৌতমবাবুর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এক কোটি টাকার মানহানির দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছেন। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় মামলাটি গ্রহণ করেন। অভিষেকের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, “গৌতম দেব জনসভায় দাঁড়িয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে যা বলেছিলেন, তার জেরে আমরা ইতিমধ্যে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মানহানির ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছি। এ বার হাইকোর্টে মানহানির দেওয়ানি মামলাও দায়ের করা হল। গৌতমবাবুর কাছ থেকে এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছে।” গৌতমবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
|
কর্নাটকের জয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে কার্যত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। বুধবার মানসবাবু মমতার নামোল্লেখ না করে তাঁকে সরাসরি কটাক্ষ করে বলেন, “যাঁরা তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার স্বপ্ন দেখছেন, মাথা গরম করে আবোল-তাবোল কথা বলা বন্ধ করুন। কংগ্রেসকে অসম্মান করবেন না।” কর্নাটকে এ বার কংগ্রেস জেতায় মানসবাবুর আশা, আগামী লোকসভা ভোটে কংগ্রেসই কেন্দ্রের সরকার গড়বে। কেন্দ্রে আর ইউপিএ সরকার শাসনে ফিরে আসবে না বলে গত শনিবার পানিহাটিতে হুমকি দিয়েছিলেন মমতা। তারই জবাব দিতে গিয়ে মানসবাবু বলেন, “কর্নাটক যে পথ দেখিয়েছে, তাতে আবার কেন্দ্রে কংগ্রেসের নেতৃত্বেই সরকার গঠন হবে। বাংলার মাটিতেও পরিবর্তনের পরিবর্তন হবে।” |