জেলায় জেলায় ‘সিল’ করা হচ্ছে সারদার অফিস। চলছে ধরপাকড়ও।
বুধবার জলপাইগুড়ির কুমারগ্রাম থানার বারবিশায় এক আমানতকারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সারদার এক এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মানিক চন্দবাড়ি। সন্তোষ শীল নামে এক আমানতকারীর অভিযোগ, ২০১০ সালে ২ লক্ষ টাকা পাঁচ বছরের জন্য সারদায় রেখেছিলেন তিনি। মাসে ৩ হাজার টাকা করে সুদ পেতেন। কিন্তু তিন মাস ধরে টাকা পাচ্ছিলেন না।
এ দিনই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে সারদার অফিসে গিয়ে পুলিশ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আটক করেছে। অফিসও ‘সিল’ করা হয়েছে। |
পুলিশ জানায়, নির্মল রায় নামে এক আমানতকারী সারদার মালিক সুদীপ্ত সেন, সংস্থার বসিরহাট শাখার ম্যানেজার সুকল্যাণ সেন, এজেন্ট গৌতম সরকার ও রামকৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ, প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, বীরভূমের সিউড়ি, দুবরাজপুরেও সারদার অফিস ‘সিল’ করে পুলিশ। কম্পিউটার, কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ দিনই ডায়মন্ড হারবারে একটি লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন কিছু আমানতকারী। তাঁরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। আমানতকারীদের হেনস্থাও করা হয়েছে। আসানসোল জেলা গ্রন্থাগারের পাশে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে এ দিন একটি গণ-কনভেশন করে বামফ্রন্ট। উপস্থিত ছিলেন সারদা ও অন্যান্য লগ্নি সংস্থার আমানতকারীরা। |