অমিত রায় নামে এক হকারকে খুনের অভিযোগে একই পরিবারের চার জনকে গ্রেফতার করল শিয়ালদহ রেল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৮০ বছরের এক বৃদ্ধাও। মঙ্গলবার মধ্যমগ্রাম থেকে তাঁদের ধরা হয়। হাবরার বাণীপুরের পালপাড়ার বাসিন্দা অমিত লোকাল ট্রেনে পানীয় জল বিক্রি করতেন। পুলিশের দাবি,ধৃতদের বাড়ির মেয়েকে অমিত বিয়ে করে। সেই বিয়ে তারা মেনে নিতে পারেনি। সেই আক্রোশেই তারা এই খুন করে বলে পুলিশের দাবি।
২৩ এপ্রিল ভোরে বনগাঁ লোকালের কামরা থেকে ট্রাঙ্কবন্দি অবস্থায় ২৩ বছরের অমিতের গলা কাটা দেহ উদ্ধার করেছিল রেল পুলিশ। বুধবার রেল পুলিশ জানায়, অমিতকে খুনের অভিযোগে আশি বছরের কমলারানি সাহা, সবিতা সাহা, প্রদীপ সাহা এবং বিশ্বজিৎ সাহা নামে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবিতা কমলারানিদেবীর বউমা। প্রদীপ ও বিশ্বজিৎ ওই বৃদ্ধার নাতি। অমিতকে খুনের অভিযোগে ওই পরিবারের আরও চার জনের খোঁজ চলছে বলেও জানা গিয়েছে।
রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, গলাকাটা দেহটির ডান হাতে ‘অমিত’ লেখা ছিল। মৃতদেহের ছবি ও হাতের উল্কির কথা জানতে পেরে বনগাঁ শাখার কয়েক জন হকার শিয়ালদহ রেল পুলিশের ওসি চন্দন ঘোষকে অমিতের পরিচয় জানান। অন্য হকারদের কাছ থেকে খবর পেয়ে অমিতের পরিবার হাসপাতালে গিয়ে দেহ শনাক্ত করে। তদন্তে জানা গিয়েছে, হাবরা ৩ নম্বর রেললাইনের ধারের বাসিন্দা এক নাবালিকাকে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে অমিত বিয়ে করেন। তার পরে ওই মেয়েটিকে নিয়ে তিনি নিজের বাড়িতে ওঠেন। অমিতের পরিবার বিয়ে মেনে নিলেও, মেয়েটির পরিবার বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। তার জেরেই ওই খুন বলে রেল পুলিশের দাবি। |