বাগদা ব্লকে সারদার মূল মাথা ছিলেন স্থানীয় ঝাউখালির বাসিন্দা শীতল মণ্ডল। স্থানীয় মস্যমপুরের বাসিন্দা স্বপ্না বিশ্বাস নামে এক মহিলা সম্প্রতি বাগদা থানায় শীতলবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্বপ্না দেবী বলেন, “শীতলবাবুকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কোম্পানি উঠে গেলেও ব্যাক্তিগত ভাবে অর্থ ফেরত দেবেন। কিন্তু এখন টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন।” তাঁর আরও অভিযোগ, শীতলবাবু নিজের তিনটি গাড়ি ও জমি গোপনে বিক্রি করে টাকা নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ১৩ বছর আগে স্বপ্না দেবীর স্বামী মারা যান। পেনশনের টাকায় সংসার চলে। তাঁর ছেলে আইটিআইতে পড়ে। ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি বিক্রির টাকা শীতলবাবুর মাধ্যমে সারদায় রেখেছিলেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ সোমবার শীতলবাবুর একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। আর এই গাড়ি নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা বাগদা বাজারের কালীমন্দিরে গাড়িটির পুজো দেন। শীতলাবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর থেকে গাড়িটি ওই নেতার বাড়িতেই ছিল। প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের অভিযোগ, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পরিতোষ সাহার বাড়িতে ছিল গাড়িটি। পুলিশ সেখান থেকেই তা বাজেয়াপ্ত করেছে। পরিতোষবাবু অবশ্য জানান, তাঁর মেজদার বাড়ির গ্যারাজে দুটি গাড়ি থাকত। যার মধ্যে একটি তাঁর। তাঁর গাড়ির চালক শীতলের গাড়িও চালাতেন। তাই শীতলের গাড়িটিও থাকত। তবে অভিযোগ হওয়ার পর আর তা রাখা হয়নি। পরিতোষবাবুর দাবি, তৃণমূলে দুলাল বরের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোক তিনি। দুলালবাবু দলবিরোধী কাজ করতেন বলে তিনি দুলালবাবুর সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছেন। সেই কারণেই তাঁর নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। পুলিশের অবশ্য দাবি, শীতলবাবুর গাড়িটি বাগদা বাজার থেকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু তিনি পলাতক। |