|
|
|
|
বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক |
মেদিনীপুরের বদলে কেশপুরে ভোট, ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদাদাতা • মেদিনীপুর |
বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির নির্বাচন এ বার হবে কেশপুরে।
দুই মেদিনীপুর জুড়ে এই সমবায় ব্যাঙ্কের ৩৮টি শাখা রয়েছে। পরিচালন সমিতির ১২টি ডিরেক্টর পদের জন্য ২ জুন কেশপুর কলেজে ভোট হবে বলে ঠিক হয়েছে। এত দিন মেদিনীপুরেই ভোট হত। আচমকা কেশপুরে ভোট করানোর উদ্দেশ্য নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠছে। সিপিএম প্রভাবিত ‘পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’ মনে করছে, তৃণমূলকে বিশেষ সুবিধে পাইয়ে দিতেই কেশপুরে ভোট করানো হচ্ছে। যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলছেন, মেদিনীপুরে স্কুল-কলেজ ফাঁকা পাওয়া যায়নি। কেশপুর কলেজে জায়গা পাওয়া গিয়েছে। তাই সেখানে ভোট হচ্ছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার মদনমোহন ঘোষ বলেন, “এ বার কেশপুরেই নির্বাচন হবে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করতে সব পদক্ষেপই করা হচ্ছে।”
একটা সময় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির মেয়াদ ছিল ৫ বছর। রাজ্যে পালাবদলের পর তা কমিয়ে ৩ বছর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে মামলা হলে জট পাকে। বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কে শেষ ভোট হয়েছে ২০০৯-এর জানুয়ারিতে। ৩ বছর ধরলে গত বছর জানুয়ারিতেই পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। আর ৫ বছর ধরলে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হবে। এই পরিস্থিতিতে গত বছর মার্চে রাজ্য সরকার স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে বিবেক সেনকে। পরবর্তীকালে রাজ্য অর্ডিন্যান্স জারি করে। শুরু হয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া। ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চে’র বক্তব্য, রাজ্য সরকারের অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে তারা আদালতে গিয়েছে। মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১৭ মে রায় বেরোবে। তার আগেই তড়িঘড়ি নির্বাচনের দিন কেন ঘোষণা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে মঞ্চ। মঞ্চের জেলা কমিটির আহ্বায়ক যুগল কিশোর তুঙ্গ বলেন, “আমরা যতদূর জানি, মেদিনীপুর-খড়্গপুরের একাধিক স্কুল শুরুতে নির্বাচন করতে দেওয়ার অনুমতি দিলেও পরে পিছিয়ে আসে। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষও তাঁদের ক্যাম্পাস ভোটের জন্য ছাড়তে রাজি হয়েছিলেন। তা হলে কেশপুরে নির্বাচন হবে কেন?”
এতদিন ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি সিপিএমের নিয়ন্ত্রণে ছিল। রাজ্যে পালাবদলের পর পরিস্থিতির বদল হয়। একাংশ কর্মী ‘বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন’ নামে ডানপন্থী সংগঠন গড়েন। এ বার ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতিও কী তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে যাবে? প্রশ্নের উত্তর মিলবে সময়েই। |
|
|
|
|
|