সানরাইজার্স কোচ টম মুডি মঙ্গলবার প্র্যাক্টিসের পর বলেছিলেন, টিমের প্রধান শক্তি বোলিংকে মাথায় রেখেই স্ট্র্যাটেজি সাজাবেন। কিন্তু দুই শর্মা ইশান্ত এবং করণ, থিসারা পেরেরা, এ মরসুমে একটি হ্যাটট্রিক করে ফেলা অমিত মিশ্র আর দিল্লি ম্যাচের নায়ক ড্যারেন স্যামি অস্ট্রেলীয় কোচকে ঘরের মাঠেই ডুবিয়ে ছাড়লেন। মাইক হাসি আর সুরেশ রায়নার তাণ্ডবে মুডির স্ট্র্যাটেজি উদয় হওয়ার আগেই অস্তে চলে গেল। শুরুতে ডেল স্টেইন মেডেন ওভারের কাঁপুনি ধরিয়ে দেওয়ার পর শুরু হল চেন্নাইরাজ। মুরলী বিজয় (২০ বলে ২৯) শুরু করেছিলেন। শেষটা করলেন হাসি (৪২ বলে ৬৭) আর রায়না (৫২ বলে ৯৯*)। একা ইশান্তই ৪ ওভারে দিলেন ৬৬। যা আইপিএল রেকর্ড। |
১১.২ আস্কিং রেট ঘাড়ে নিয়ে হায়দরাবাদকে জিততে হলে ওপেনারদের মধ্যে একজনকে দাঁড়াতে হত। দ্বিতীয় ওভারেই শিখর ধবন ফেরার পর পার্থিব পটেল কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন (৩০ বলে ৪৪)। অশ্বিন, মোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে আর কোনও ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে না পারায় পার্থিব যোগ্য সঙ্গত পেলেন না। শেষ বেলায় করণ শর্মা (৩৩ বলে ৩৯) ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় চেন্নাই জিতে গেল ৭৭ রানে। হায়দরাবাদ শেষ ১৪৬ রানে। ঘরের মাঠে এ মরসুমে পাঁচ ম্যাচ জেতার পর সিএসকে-র কাছে এই হারে প্লে অফের দৌড়ে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে গেল কুমার সঙ্গকারাদের। চেন্নাই ১৩ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে। মুম্বই, রাজস্থান ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই আর তিনে। সঙ্গাদের চতুর্থ স্থানে ওঠার লড়াই আরসিবির সঙ্গে। বিরাট কোহলিরা ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ। সঙ্গাদের ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট হলেও রানরেটে বিরাটদের থেকে পিছিয়ে তাঁরা। বাকি চার ম্যাচে সানরাইজার্সের সামনে পঞ্জাব, মুম্বই, রাজস্থান আর কলকাতা। আর বিরাটদের বাকি চার ম্যাচে সামনে দিল্লি, কলকাতা, পঞ্জাব আর চেন্নাই। শেষ ল্যাপে কে এগিয়ে যেতে পারে এখন সেটাই দেখার। তবে এই ম্যাচে সিএসকে মুডিদের বুঝিয়ে দিল শুধু বোলিংয়ের ভরসায় থাকলে সব পরীক্ষায় উতরে যাওয়া যাবে না।
|