প্রশাসনের নজরদারির অভাবে রায়গঞ্জ শহর এলাকায় বেআইনিভাবে জলাশয় ভরাট চলছে বলে অভিযোগ তুললেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্ত। বুধবার বিধায়ক কর্ণজোড়ায় ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানান। শহরের বিভিন্ন এলাকায় আটটি জলাশয় ভরাটের কাজ চলছে বলে তিনি জানান। জলাশয়ের ছবি সহ মালিকের নামও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে জানান।
ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর আধিকারিক বাণীব্রত মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “বিধায়ক তথ্য প্রমাণ সহ পুকুর ভরাটের অভিযোগ জানান। একটি কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুরসভা সূত্রে জানা যায়, বাসিন্দাদের একাংশের কাছ থেকে এই সব জলাশয় ভরাটের অভিযোগ পেয়ে গত রবিবার বিধায়ক পুরসভার কাউন্সিলার তথা পুর এলাকার শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও সৌন্দর্য্যায়ন বিভাগের সঞ্চালক আদেশ মাহাতোকে নিয়ে দেবীনগর, কাশিবাটি, নেতাজি পল্লি, অশোকপল্লি ও মালপাহাড়িপাড়া এলাকার আটটি জলাশয় ঘুরে দেখেন। জলাশয়গুলির ছবিও তোলা হয়। এর পরে জলাশয়গুলির মালিকানা নিয়ে ভূমি সংস্কার দফতর থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। মোহিতবাবু বলেন, “কয়েক বছর থেকে গোপনে রাতে মাটি ফেলে জলাশয়গুলি ভরাটের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ ভরাট হয়েছে। এটা বেআইনি কাজ। কিন্তু পুরসভার পক্ষে ঠেকানো সম্ভব নয়। ওই কারণে ব্লক ভূমি আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়েছি।”
পুরসভার কর্তারা জানান, এ ভাবে জলা ভরাট চলতে থাকলে রাজ্য সরকারের ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্প মার খাবে। বর্ষায় নিকাশি ভেঙে পড়বে। দমকল জল পাবে না। বহুতল তৈরির জন্য জলাশয়গুলি ভরাট করা হচ্ছে কিনা ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিককে তদন্ত করে দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এ দিন বিধায়ক যে আটটি জলাশয় ভরাট হচ্ছে বলে ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জমা দেন সেগুলি অশোকপল্লি এলাকার। একটি পুকুরের মালিক রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতুলবন্ধু লাহিড়ী। অতুলবাবু অসুস্থ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। ছেলে রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ী বলেছেন, “পুকুরের পাড় ভেঙে রাস্তায় ভাঙন ধরে। বাসিন্দাদের কথায় পুরসভাকে বলে মাটি ফেলে পাড় সারানো হয়।” |