টুকরো খবর
রাজ্যে প্রথম হাইওয়ে পুলিশ ইউনিট হুগলিতে
যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে হুগলি জেলায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি হাইওয়ে পুলিশ ইউনিট চালু হল বুধবার। ইউনিটগুলি থাকছে ডানকুনি, সিঙ্গুর এবং গুড়াপের বসিবপুরে। যা দেশে এই প্রথম বলে দাবি পুলিশের। এ দিন ডানকুনি থেকে ইউনিটগুলির উদ্বোধন করে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র পুলিশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “সারা রাজ্যেই যাতে এ ধরনের ইউনিটের গড়া যায়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক সময় হাইওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটলে বা কোনও অপরাধমূলক কাজকর্ম হলে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েন। তাঁরা কোথায় যাবেন বা কী করবেন বুঝতে পারেন না। বহু সময় দুর্ঘটনায় জখমদের হাসপাতালে নির্দিষ্ট সময় নিয়ে যেতে না পারার জন্য তাঁরা মারাও যান। সে সব এড়াতেই এই উদ্যোগ। প্রতিটি হাইওয়ে পুলিশ ইউনিটে আপাতত মোট ন’জন করে পুলিশকর্মী থাকবেন। প্রতিটি ইউনিটের জন্য থাকছে গাড়ি এবং মোটরবাইক। কোনও খবর পেলেই পুলিশ যাতে দ্রুত সেখানে পৌঁছতে পারেন। এ ছাড়াও, প্রতিটি ইউনিটে থাকছে একটি করে অ্যাম্বুল্যান্স। যাতে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া যায় দুর্ঘটনায় জখম মানুষদের। এ দিনের অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী ছাড়াও আইজি পশ্চিমাঞ্চল সিদ্ধিনাথ গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার বলেন,“হাইওয়ে ইউনিটগুলি ২৪ ঘণ্টাই কাজ করবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশকর্মী এবং অন্য সব ব্যবস্থা নিয়ে স্বয়ং সম্পূর্ণ ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা পথে বের হওয়া মানুষজনদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতেই এ ধরনের একটি ইউনিট গড়ে তোলা হল।”

আজ থেকে অটো চলাচল স্বাভাবিক
এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা অটো চলাচল বন্ধ করে দেন শ্যামপুর-গড়চুমুক রোডের মৌলায়। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ফের অটো চলবে বলে জানিয়েছেন শ্যামপুর ২ ব্লকের বারগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তপন প্রামাণিক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত শুক্রবার ট্রেকার ও অটোর রেষারেষির সময়ে অটোর ধাক্কায় মারা যান বংশী মাইতি (৬০) নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। এই ঘটনার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা। অটোর বেপরোয়া চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশি হস্তক্ষেপের দাবিতে সমস্ত অটো চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা। ওই ঘটনার জেরে পাঁচ দিন বন্ধ ছিল অটো। সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, ওই অঞ্চলে বাসের তুলনায় অটোর সংখ্যাই বেশি। ফলে অটো না চললে তার প্রভাব পড়বেই। প্রবল গরমে এ ক’দিন ভিড়ে ঠাসা যানবাহনেই যাতায়াত করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। তপনবাবুর বক্তব্য, “অটোয় অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বড় গাড়ির সঙ্গে রেষারেষি নিয়েও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ আছে। বুধবার বিকেলে অটো ইউনিয়নগুলির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে নিয়ম মেনে গাড়ি চালাতে তাঁরা রাজি হয়েছেন।”

দিনেদুপুরে ছিনতাই হাওড়ায়
কয়েক মাস ধরেই এলাকায় বাড়ছিল চুরি-ছিনতাই। এ বার দিনে-দুপুরে এক মহিলার টাকার ব্যাগ ছিনতাই করল মোটরবাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতী। বুধবার, হাওড়ার নাজিরগঞ্জ থানা এলাকার আন্দুল রোডে। এর আগে গত সোমবার রাতে আন্দুল রোডের পাশে একটি পানশালা থেকে চুরি যায় প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। পরের দিন মঙ্গলবার রাতেই লক্ষাধিক টাকা চুরি হয় চুনাভাটি এলাকার একটি বাড়ি থেকে। এর পরে বুধবারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ চুনাভাটির কাছে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আন্দুল রোডের শাখায় টাকা তুলতে আসেন এলাকারই বাসিন্দা শম্পা বন্দ্যোপাধ্যায়। শম্পাদেবীর স্বামী হিমাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেব্ল টিভির ব্যবসা। তিনিই ব্যাঙ্ক থেকে ৪৫ হাজার টাকা তুলতে দিয়েছিলেন তাঁকে। পুলিশ জানায়, টাকা তুলে ফেরার সময়ে মৌরিগ্রামের দিক থেকে মোটরবাইকে দুই যুবক টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে বটানিক্যাল গার্ডেনের দিকে পালায়। শম্পাদেবীর চিৎকারে পথচলতি মানুষ ছিনতাইবাজদের তাড়া করলেও তীব্র গতিতে মোটরবাইক চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে। তবে রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।

গুড়াপ কাণ্ডে ফের ধৃত ৫
গুড়াপ-কাণ্ডে জামিনে মুক্ত অভিযুক্তদের ফের গ্রেফতার করল সিবিআই। বুধবার রাতে গুড়াপ থেকেই হোমের সম্পাদক উদয়চাঁদ কুমার, অ্যাম্বুল্যান্স চালক রঞ্জিত ও সানি এবং হোমের ট্রাক্টর চালক বিশ্বনাথ-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় সিবিআইয়ের একটি তদন্তকারী দল। ২০১২-র ২৩ মে বাঁকুড়া সদরের মহকুমাশাসক মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে গুড়াপের ‘দুলাল স্মৃতি সংসদ’ হোমে পাঠিয়েছিলেন। গুড়িয়া নামে মেয়েটি সেখানে পুলিশি হেফাজতে ছিল। মাস দুয়েক বাদে, ১১ জুলাই এক ব্যক্তি গুড়াপ থানায় ফোন করে জানান, হোমের ভিতরে গুড়িয়াকে কবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা গিয়ে মাটি খুঁড়ে গুড়িয়ার বিকৃত শব উদ্ধার করে। পুলিশ জানতে পারে, দিন দশেক আগে তাঁকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল। জানা যায়, আরও কিছু আবাসিককে মেরে দামোদরের ধারে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, হোমের সম্পাদক উদয়চাঁদ কুমার এক ডাক্তারের নাম জাল করে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ দিয়েছিলেন। ঘটনাটি নিয়ে প্রথমে হুগলি জেলা পুলিশ তদন্ত করছিল। পরে রাজ্য সরকার সিআইডি-কে দায়িত্ব দেয়। কিন্তু সিআইডি-তে আস্থা না-রেখে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। উদয়চাঁদ-সহ কয়েক জন ধরা পড়েও পড়ে জামিনে ছাড়া পায়।

দুর্ঘটনায় জখম ৪
কাচের শিশি বোঝাই একটি ম্যাটাডর উল্টে এ দিন চালক-সহ চার জন গুরুতর জখম হন। তাঁরা উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। এর জেরে প্রায় এক ঘণ্টা যানজট থাকে সেতুর এক দিকে। পুলিশ জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সেতুর দক্ষিণেশ্বরের দিক থেকে ডানকুনির দিকে ম্যাটাডরটি যাচ্ছিল। বালিঘাট স্টেশনের কাছে সেটি উল্টে যায়। গুরুতর জখম হন চালক শ্যামসুন্দর মিদ্দা, শেখ রবুল, শেখ মনির ও শেখ বাচ্চু নামে উত্তর বন্দর থানা এলাকার বাসিন্দা। টোল প্লাজার কর্মীরা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.