অফিসের ব্যস্ত সময়ে বাসে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়াল। তীব্র যানজটের জেরে ভোগান্তিতে পড়লেন অসংখ্য যাত্রী। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ই এম বাইপাসের চিংড়িঘাটায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গানগর থেকে গড়িয়া স্টেশন যাচ্ছিল ভূতল পরিবহণের বাসটি। চিংড়িঘাটার কাছে এসে ইঞ্জিনের সামনে থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে বাস থামিয়ে দেন চালক। কিছু ক্ষণেই ধোঁয়া ভিতরে ঢুকতে থাকে। বাসে তখন প্রায় ১০০ জন যাত্রী।
ধোঁয়া দেখে আগুনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বাসের একটি মাত্র দরজা দিয়ে বেরোনোর জন্য ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। শঙ্করকুমার বসু নামে এক যাত্রী বলেন, “ভিড়ের মধ্যে নামতে গিয়ে হাতে চোট পাই। একটি শিশু পড়ে গেলে তার মাথায় লাগে।” প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছুক্ষণে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে বাসে। ফাটতে শুরু করে সব টায়ার। কাচও ভেঙে যায়। পাশেই বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ড। সেখান থেকে খবর দেওয়া হয় দমকলে। ট্রাফিকগার্ডের কর্মীরাও ইতিমধ্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। |
প্রাথমিক তদন্তের পরে দমকল জানায়, বাসে কোনও তারে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন।
এ দিকে, ঘটনার সময়ে বাসটি দাঁড়িয়েছিল সল্টলেকের উড়ালপুলের ঠিক নীচে। জ্বলন্ত বাস থেকে আগুনের শিখা চলে যায় উড়ালপুলের বিম পর্যন্ত। যার জেরে জায়গাটি খুব গরম হয়ে যায়। উড়ালপুল পরীক্ষা করতে আসেন কেএমডিএ-র বিশেষজ্ঞেরা। সেটিকে ঠান্ডা করার জন্য সেতুর উপরে উঠে দমকলের একটি ইঞ্জিন জল দেয়। এর পরে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ওই সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক দিকে উড়ালপুল বন্ধ, অন্য দিকে বাসে আগুন লাগায় আটকে গিয়েছে বাইপাস। দুইয়ে মিলে তীব্র যানজট তৈরি হয় ওই অঞ্চলে। সায়েন্স সিটি থেকে চিংড়িঘাটা আসতেই লেগে যায় প্রায় এক ঘণ্টা। চরম ভোগান্তি হয় বহু অফিসযাত্রীর। |