রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা পেলেন না ইউরোপের চার রাষ্ট্রদূত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, সরকারি তরফ থেকে আগেই তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ব্যস্ততার কারণে বুধবার তাঁদের সময় দিতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী সুব্রত সাহার সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের।
নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড ইউরোপের নর্ডিক অঞ্চলের এই চার দেশের রাষ্ট্রদূত বুধবার সকালেই দু’দিনের সফরে এসে পৌঁছেছেন কলকাতায়। প্রতি বছর ভারতের একটি রাজ্যে শিল্প-সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে ওই প্রতিনিধিদল। তার জন্য গত বার অন্ধ্রপ্রদেশের পর এ বার পশ্চিমবঙ্গের পালা।
এ রাজ্যে শিল্পায়নের অংশীদার হতে ইচ্ছুক ওই চার দেশের প্রতিনিধিদল শিল্পমহল এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করেছিল মাস খানেক আগেই। সেই সময়েই কথা বলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সময় চেয়েছিল তারা। যা সম্ভব হবে না বলে দিন কয়েক আগে জানিয়ে দেয় রাজ্য। ফলে এ দিন বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বারের সভায় শিল্প নিয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলেও মমতার সঙ্গে দেখা হল না ওই প্রতিনিধিদলের। তা-ও এমন দিনে, যে- দিন শিল্প নিয়ে কোর কমিটির প্রধান হিসেবে রাজ্যের শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অবশ্য রাজ্যে কোন কোন শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে, প্রাথমিক ভাবে তা জানিয়েছে ওই প্রতিনিধিদল। যেমন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ফ্রেডি সোয়ানের মতে, এখানে গভীর সমুদ্র-বন্দর নির্মাণ করা জরুরি। খাদ্য প্রক্রিয়াকণ, অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার সমেত বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সাগর ও রসুলপুরে দু’টি গভীরসমুদ্র-বন্দর নির্মাণের কথা তাঁকে জানিয়েছেন পার্থবাবুও।
পরে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুর সঙ্গেও বৈঠকে করে রাষ্ট্রদূতদের ওই প্রতিনিধিদল। তাঁদের তরফ থেকে লগ্নির প্রস্তাবকে সমর্থন জানানোর আশ্বাস দিয়ে বিমানবাবু বলেন, “সরকারে থাকি বা না-থাকি, আমরা চাই রাজ্যে বিনিয়োগ আসুক। আমরা শিল্পায়নকে স্বাগত জানাব।” |