আমানতকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতেই সারদাগোষ্ঠীর সিউড়ি শাখার অফিসটিতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় রাতে সিউড়ি নতুন ডাঙালপাড়ায় খাদ্যনিয়ামকের কার্যালয়ের পাশে থাকা সারদাগোষ্ঠীর ওই অফিসের শাটার ভাঙতে পারেনি পুলিশ। বুধবার দুপুরে ডেপুটি মেজিষ্ট্রেট শৈবাল নন্দীর তত্ত্বাবধানে সেই কাজটাই সারল পুলিশ। |
দুবরাজপুরে সারদার অফিস। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত |
এ দিন যন্ত্র দিয়ে শাটারের লক ভাঙার পরে অফিসে ঢুকে খান পাঁচেক কম্পিউটার, কিছু যন্ত্রপাতি ও বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেন তাঁরা। প্রায় একই সময়ে সারদাগোষ্ঠীর দুবরাজপুর শাখাটিতেও হানা দিয়েছিল পুলিশ। এখান থেকেও কম্পিউটার ও নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা জানান, দু’টি অফিস থেকে কিছু জিনিসপত্র ও কাগজপত্র উদ্ধার হলেও টাকা পয়সা পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রচুর সময় পেয়ে যাওয়ায় টাকা পয়সা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল সরিয়ে ফেলেছে অভিযুক্ত সংস্থার কর্মীরা। প্রায় বছর তিনেক ধরে যাঁর বাড়ির দোতলায় অফিস করেছিল সারদাগোষ্ঠী। সেই বাড়ির মালিক সিউড়ির মোহনলাল দাস বলেন, “প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে ভাড়া বাবদ দু’ মাস ঘরভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল বাকি। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অফিস খোলা ছিল। তরপরই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।” |
সিউড়িতে সারদার অফিস। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় |
স্থানীয় সূত্রের খবর, মাস দু’য়েক আগেই গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায় সিউড়ির অফিসে এসেছিলেন। অন্য দিকে, দুবরাজপুরে সারদাগোষ্ঠীর অফিসটি ছিল পুরসভার পাশে বিপুল মাহাতোর বাড়িতে। বিপুলবাবু বলেন, “সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরেই অফিসটি বন্ধ হয়ে যায়। এক মাসের বাড়ি ভাড়া বাবদ ৮ হাজার টাকা বাকি।” বর্তমানে যেহেতু দু’টি বাড়ি প্রশাসনের দখলে চলে গিয়েছে, তাই সেগুলি ফেরৎ পাওয়ার জন্য আইনের পথে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন দুই বাড়ির মালিক। |