পার্ক স্ট্রিটে ধর্ষণের পরে ওসি সরাতে বছর পার |
তাঁর এলাকায় ধর্ষণ এবং তা নিয়ে তুমুল হইচই। তা সত্ত্বেও পার্ক স্ট্রিট থানার ওসি-পদেই বহাল থেকে গিয়েছিলেন মহম্মদ কলিমুদ্দিন। সেই ঘটনার বছরখানেক পরে, মঙ্গলবার তাঁকে বদলি করা হল। এবং বদলি করা হল তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ থানা কাশীপুরে।
শুধু কলিমুদ্দিন নন। এ দিন বদলি হয়েছেন কলকাতা পুলিশের ১১টি থানার ওসি-রা। তবে তাঁদের মধ্যে কলিমুদ্দিনের বদলিই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ পার্ক স্ট্রিটে ধর্ষণের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে গাফিলতি ছিল বলে অভিযোগ উঠলেও তখন ওসি-কে সরানো হয়নি। উল্টে তদন্তের দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) দময়ন্তী সেনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল সরকার। এত দিন পরে কলিমুদ্দিনের বদলি কেন?
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “নিয়ম মেনেই বদলি করা হয়েছে। তবে পার্ক স্ট্রিট থেকে বদলির সময় সাধারণত বেশি গুরুত্বপূর্ণ থানায় দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি।”
বেহালা থানার ওসি সুদীপ্ত নাগকে মাস ছয়েক আগে এন্টালি থানায় বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি এন্টালিতে যেতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের তরফে সেই বদলির তালিকা বদলে দিয়ে তখনকার মতো সুদীপ্তবাবুকে বেহালাতেই রেখে দেওয়া হয়।
এ দিন তাঁকে পাঠানো হয়েছে স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চে। এ ছাড়াও লেক থানার ওসি পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় এবং মানিকতলা থানার ওসি শুভাশিস করকে গোয়েন্দা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। নিউ মার্কেট থানার ওসি শান্তনু সিংহ বিশ্বাসকে হেয়ার স্ট্রিট এবং কাশীপুর থানার ওসি তপন প্রামাণিককে নিউ মার্কেট থানায় বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়াও বদলি করা হয়েছে অন্য কয়েকটি থানার ওসি-দের।
|