পাটুলির ঝিলে মিলল বধূর দেহ, রহস্য
পাটুলির একটি ঝিল থেকে মঙ্গলবার দুপুরে এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ জানিয়েছে, রীতা শীল নামে বছর তিরিশের ওই বধূর শ্বশুরমশাইয়ের ঘর থেকে একটি চিঠি পাওয়া গিয়েছে, যেটিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন রীতার ‘সুইসাইড নোট’ বলে দাবি করেছেন। তবে রীতার বাপের বাড়ির লোকজনের বক্তব্য, ওই হাতের লেখা রীতার নয়। রীতাদেবীর সঙ্গে তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের বনিবনা ছিল না। এর মধ্যে কোনও গণ্ডগোল আছে বলে আঁচ করছেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি। পুলিশের বক্তব্য, ময়না-তদন্তে অন্য রকম কিছু পাওয়া গেলে সেই অনুযায়ী মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুরে কয়েক জন স্কুলপড়ুয়া ওই ঝিলের ধারে একটি গাছ থেকে আম পাড়তে গিয়ে দেখে, ঝিলের জলে সালোয়ার কামিজ পড়া এক মহিলার দেহ ভাসছে। তাদের চিৎকার শুনে ছুটে যান স্থানীয়েরা। তাঁরাই পাটুলি থানায় খবর দেন।
পুলিশ জানায়, রীতাদেবী পাটুলির বি পি টাউনশিপের একটি একতলা বাড়িতে স্বামী বিশ্বনাথ, ছ’বছরের ছেলে তমাল ও শ্বশুরমশাই গোপাল শীলের সঙ্গে থাকতেন। পুলিশ জানায়, গোপালবাবুর সঙ্গে তাঁর পুত্র ও পুত্রবধূর সুসম্পর্ক ছিল না। সে ক্ষেত্রে পুলিশের প্রশ্ন, রীতাদেবীর যে কালো রঙের ব্যাগটি থেকে তাঁর লেখা সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে বলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, সেটি গোপালবাবুর ঘরে এল কী করে?
সুইসাইড নোট অনুযায়ী, রীতাদেবী নিজেকে ‘খারাপ স্বভাবের মহিলা’ বলে জানিয়েছেন, তিনি আত্মহত্যা করছেন এবং সে জন্য কেউ দায়ী নয়। কিন্তু ওই চিঠির হাতের লেখা দেখে রীতাদেবীর মা কানন বিশ্বাস জোর গলায় দাবি করেছেন, “এই লেখা কিছুতেই আমার মেয়ের নয়। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না।”
রীতাদেবীর শ্বশুর গোপালবাবু জানান, রীতাদেবীর ও তাঁর স্বামী বিশ্বনাথের প্রায় রোজই ঝগড়া হত। আগেও তিনবার রীতাদেবী আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন। রীতাদেবীর মা কাননদেবীর অভিযোগ, বিশ্বনাথের সঙ্গে তমালের গৃহশিক্ষিকা ও আরও কয়েক জন মহিলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। রীতা সে সব জেনে গেলে পরিবারে অশান্তি শুরু হয়।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.