মন্দির উন্নয়নের টাকা পড়ে, ‘উদাসীন’ পুরসভা |
কালীঘাট মন্দিরের উন্নয়নে কেন্দ্রের পাঠানো ৭৬ লক্ষ টাকা কলকাতা পুরসভার কাছে দীর্ঘদিন পড়ে রয়েছে। কেন্দ্র এই খাতে পুরসভাকে ৫ কোটি টাকা দিয়েছিল। তা থেকে আগের পুর-বোর্ডের আমলে ভক্তদের থাকার জন্য গেস্ট হাউস তৈরি করা হয়। সেটিতে ১৪টি ঘর রয়েছে। এই কাজ ছাড়া আর বিশেষ কোনও কাজ হয়নি। সেই থেকেই পুরসভার কাছে ৭৬ লক্ষ টাকা পড়ে রয়েছে।
মঙ্গলবার কালীঘাট মন্দির নিয়ে একটি জনস্বার্থের মামলায় প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ টাকা থাকা সত্ত্বেও পুরসভার এই উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে। কালীঘাট মন্দিরের সমস্যা খতিয়ে দেখে আগামী সোমবার হাইকোর্টকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গড়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এই কমিটিতে থাকবেন আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচারক, জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুর-কমিশনার, পর্যটন সচিব, রাজ্য সরকারের আইনজীবী শ্যামল সান্যাল, কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী ভাস্কর বৈশ্য ও মন্দির কমিটির প্রতিনিধি। মন্দির কমিটির পক্ষে সম্পাদক গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “মন্দিরের উন্নয়নে কমিটি হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ চায়।”
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, দূর থেকে বিগ্রহের গায়ে ফুল-মালা বা অন্য উপচার ছোড়া যাবে না। মন্দিরের ভিতরে ও মন্দিরের গায়ে দোকান রাখা যাবে না। দোকানদারদের ওখান থেকে তুলে পুনবার্সনের ব্যবস্থা করতে হবে। মন্দিরের সমস্ত সিসিটিভি যাতে কাজ করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। গর্ভগৃহে প্রবেশে নীতি তৈরি করতে হবে। কোনও ভাবেই জুতো পরে মন্দিরে ঢোকা যাবে না। বাইরে জুতো রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। পরিচ্ছন্নতা রক্ষা, ভক্তসহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
এ দিন প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি মন্দিরের উন্নয়নে অনেক পরামর্শ পেয়েছেন। এই কমিটির পরামর্শ পাওয়ার পরে আগামী সোমবার চূড়ান্ত রায় দেবে ডিভিশন বেঞ্চ। |