|
|
|
|
ধর্ষণে ‘শাস্তি’ শিক্ষককে |
মাথা মুড়িয়ে জুতোর মালায় ঘোরানো হল গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গৃহশিক্ষককে মারধর করে, চুল কেটে জুতোর মালা পরিয়ে গ্রামে ঘোরানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে ইংরেজবাজার থানার আনন্দমোহনপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্তের মুখে কালিও লেপে দেওয়া হয়। চৈতন্য কর্মকার নামের অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই ছাত্রীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ছাত্রীটির অবস্থা স্থিতিশীল। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ছাত্রীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে জেরা করা হচ্ছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, ইংরেজবাজার থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রী স্থানীয় যুবক চৈতন্যের কাছে ছাত্রীটি প্রাইভেট টিউশন পড়ত। ছাত্রীটির সঙ্গে তার বাড়িতে ১০ জন পড়ত। বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রীটির ভাই ও ছোট ছেলেকে নিয়ে তার মা চাঁচলে বাবার বাড়িতে যান। ছাত্রীটির বাবা ও জেঠাও কাজে বেরিয়ে যান। তার জেঠিমা স্নান করতে নদীতে চলে যান। অভিযোগ, ওই সময়ে চৈতন্য ফাঁকা বাড়িতে গিয়ে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে ঘটনাটি কাউকে জানালে বাড়ির সকলকে মেরে পেলার হুমকি দিয়ে চলে যান। বিকেলে ছাত্রীটির মা বাড়ি ফিরলে তাঁকে সে সব জানিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
চৈতন্য প্রাইভেট টিউশনে ওই বাড়িতে গেলে তাঁকে বাড়ির লোকজন আটকে রাখেন। খবর পেয়ে চৈতন্যের হয়ে বেশ কিছু লোক জন গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। রাতে সালিশি সভাও বসে। কিন্তু, সেখানে এর নিষ্পত্তি হয়নি। সকালে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তকে মারধর করে মাথার চুল কেটে মুখে কালি লেপে এলাকায় ঘুরিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, “৩০ হাজার টাকা নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে চৈতন্য। আমরা রাজি হইনি। গৃহশিক্ষক আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমার মেয়ে জানিয়ে দেয়, যে তাকে ধর্ষণ করেছে তাঁর সঙ্গে বিয়ের প্রশ্নই ওঠে না। মেয়ে চৈতন্যের শাস্তি চায়।”
ছাত্রীর মা বলেন, “আমি ছোট মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি যাওয়ার আগের দিন গৃহশিক্ষককে বলেছিলাম তিন দিন আসার দরকার নেই।” তাঁর অভিযোগ, “আমি চলে যাওয়ার পরে গৃহশিক্ষক বাড়িতে ঢুকে মেয়েকে ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরে দেখি মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছে। মেয়ের মুখে শুনে হাসপাতালে ভর্তি করাই।” ছাত্রী জানায়, ওই গৃহশিক্ষক মুখে রুমাল চেপে দোতলায় নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। |
|
|
|
|
|