গ্রন্থাগারের বই কিনতে ৮০ লক্ষ
কোচবিহার জেলার প্রাথমিক ও হাই স্কুলগুলির লাইব্রেরির বই কেনার জন্য প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করল সর্বশিক্ষা মিশন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর জেলার ৪৭১টি হাইস্কুলের সবকটিকে ওই খাতে ৭৮৭২ টাকা করে মোট ৩৭ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক স্কুলগুলির প্রতিটিকে ২৩১১ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ১৮১৯ টি প্রাইমারি স্কুলের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ৪২ লক্ষাধিক টাকা। সব মিলিয়ে বরাদ্দের পরিমাণ ৭৯ লক্ষাধিক টাকা।
বই কেনার জন্য বিভিন্ন মহকুমায় ছয়টি বই মেলার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। চলতি ৬ থেকে ২২ মে মেলাগুলি হবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে শিশু কিশোর বইমেলা। সর্বশিক্ষা মিশনের কোচবিহারের আধিকারিক আমিনুল আহসান বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের বই পড়ার মানসিকতা গড়ে তোলার জন্য স্কুলের লাইব্রেরিগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন জরুরি। সেদিকে নজর রেখেই আমরা বই কেনার জন্য মূলত বরাদ্দ দিয়েছি। স্কুলগুলি ইচ্ছে করলে নির্দিষ্ট টাকার অতিরিক্ত টাকাও মেলায় খরচ করতে পারবে। এ জন্য স্কুলগুলিকে পরামর্শ নিতে হবে। কাঠের র্যাক বা ছোট আলমারি তাঁরা কিনতে পারেন।”
সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা যায়, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড মেলার বন্দোবস্ত করছে। কোচবিহার সদর মহকুমার শিশু কিশোর বইমেলা ৬-৮ মে রামভোলা হাইস্কুলে হবে। দিনহাটা মহকুমার স্কুলগুলির জন্য ৯-১১ মে বইমেলার আসর বসবে দিনহাটা হাইস্কুলে। মাথাভাঙা হাইস্কুলে ওই মহকুমার স্কুলগুলির জন্য মেলা হবে ১৩-১৪ মে। মেখলিগঞ্জ মহকুমার জন্য দুইটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেখলিগঞ্জ ব্লকের স্কুলগুলির জন্য ১৫-১৬ মে স্থানীয় মেখলিগঞ্জ হাইস্কুলে ও হলদিবাড়ির স্কুলগুলির জন্য হলদিবাড়ি হাইস্কুলে ১৭-১৮ মে মেলা হবে। তুফানগঞ্জ মহকুমার স্কুলগুলির জন্য মেলা হবে ২০-২২ মে তুফানগঞ্জ এনএনএম হাইস্কুলে।
পাঁচশোর বেশি প্রকাশনী সংস্থার বই থাকবে। মনীষীদের জীবনী, বিজ্ঞান চর্চা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের ছোটবেলার কাহিনী, ছোটদের ছড়া, কিশোরদের রহস্য গল্প ছাড়াও বিভিন্ন বইয়ের সম্ভার মেলায় থাকবে। কোচবিহার রামভোলা স্কুলে আয়োজিত উদ্বোধনী মেলায় গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা উপস্থিত থাকবেন। মিশনের এক আধিকারিক বলেন, প্রাইমারিগুলির জন্য ২২৯টাকা ও হাইস্কুলগুলির জন্য ৭০৯ টাকার বই কেনা বাধ্যতামূলক। লাইব্রেবি উপকরণ কেনার দরকার না হলে পুরো টাকার কিনতে পারবে স্কুলগুলি। স্কুল ইচ্ছে করলে বার্ষিক স্কুল গ্রান্টের বরাদ্দে বই কিনতে পারবে। সর্বশিক্ষা মিশনের এই সিদ্ধান্তে খুশি বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। নাটাবাড়ি হাইস্কুলে প্রধানশিক্ষক রঞ্জিৎ সেন বলেন, “লাইব্রেরির জন্য আগে সে ভাবে বরাদ্দ মেলেনি। বই কেনা সম্ভব হত না। মিশনের ওই উদ্যোগে লাইব্রেরিগুলিকে কিছুটা হলেও নতুন ভাবে সাজা যাবে।” মাথাভাঙা হাইস্কুল প্রধান শিক্ষক চৈতন্য পোদ্দার বলেন, “বই রাখার র্যাক, আলমারিও কেনা যেতে পারে। খুবই ভাল উদ্যোগ।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.