|
|
|
|
প্রাক্তন সিপিএম নেত্রীর ঝুলন্ত দেহ ঘিরে রহস্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিবাড়ি |
এক প্রাক্তন সিপিএম নেত্রীর অপমৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে কোচবিহারের হলদিবাড়িতে। লতা প্রধান (৩৯) নামের ওই মৃত মহিলার স্বামী মনজুর হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে। অভিযোগ, এলাকার এক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা সহ অন্তত তিন জনের মোবাইল ফোন থেকে লতাদেবীর মোবাইলে দীর্ঘ কথাবার্তা হয়েছে। গত ২৬ এপ্রিল সকালে লতা দেবী ফোনে প্রায় এক ঘণ্টা উত্তেজিত ভাবে কথা বলেন। ওই দিন নিজের ঘরে থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। মনজুরবাবু পুলিশের কাছে তিনটি মোবাইল নম্বর দিয়ে তা নিয়ে বিশদে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন। মাথাভাঙার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সীতারাম সিংহ বলেন, “মোবাইল ফোনগুলি থেকে কে কে কথা বলেছিলেন তা খোঁজার চেষ্টা চলছে।”
লিলিফা বেগম হলদিবাড়ি শহরে লতা প্রধান নামেই পরিচিত ছিলেন। চার বছর তিনি সিপিএমের গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির হলদিবাড়ি ব্লকের সম্পাদক ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের পরে তিনি সিপিএম ছেড়ে দেন।
পুলিশ জানায়, ২৯ এপ্রিল মনজুর হোসেন লিখিত অভিযোগে জানান, তিনটি মোবাইল নম্বর থেকে তাঁর স্ত্রীকে উত্যক্ত করা হত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলির কাছে কল লিস্ট চাওয়া হয়েছে। ওই তালিকা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঞ্জুর সাহেবের অভিযোগ, “প্রতিবেশী তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির হলদিবাড়ি ব্লক সভাপতি অভিজিৎ সিংহ যে ফোন করে স্ত্রীকে উত্যক্ত করতেন, সেটা স্ত্রীর কল লিস্ট দেখার পরে আমার সন্দেহ হয়েছে। আমি চাই পুলিশ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করুক।”
যদিও অভিজিৎবাবু ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি প্রতিবেশী হিসেবে লতা দেবীকে চিনতাম। কখনও ফোনে কাউকে উত্যক্ত করিনি। আমার বদনাম রটাতে প্রতিবেশীরা সচেষ্ট হয়েছে। যে নম্বরগুলি পুলিশকে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে প্রথমটি আমার। বাকি নম্বরগুলি আমার নয়।” অভিজিৎবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছেন হলদিবাড়ি ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোপাল রায়। তিনি বলেন, “অভিজিৎ আমাদের দলের একনিষ্ঠ কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেওয়ার জন্যে চক্রান্ত হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|