|
|
|
|
এক বছরেও ফল মেলেনি পরীক্ষার |
অনুপরতন মোহান্ত • বালুরঘাট |
পরীক্ষার পরে এক বছর কেটে গেলেও প্রথম বর্ষের ফল প্রকাশ হয়নি বালুরঘাট কলেজে। অথচ নতুন করে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করায় চরম বিপাকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের অন্তত এক হাজার ছাত্রছাত্রীর বিগত প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফল অসম্পূর্ণ। চলতি শিক্ষা বর্ষে তাদের পরীক্ষায় বসা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বালুরঘাট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বহুবার সমস্যার বিষয়ে গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এক বছর ধরে প্রথমবর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশ না হওয়ায় পড়ুয়ারা তাদের অবস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।”
কলেজের পক্ষ থেকে পরীক্ষার ফলে অসম্পূর্ণ ছাত্রছাত্রীদের তালিকা পাঠিয়েও গৌড়বঙ্গ কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক সনাতন দাস এদিন বলেন, ”গত বছরের প্রথম বর্ষের অনার্সের ফল বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে প্রকাশ করা হচ্ছে। পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের আগেই পাসকোর্সের ফল প্রকাশ করার চেষ্টা চলছে।” তা ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের অসম্পূর্ণ ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সনাতনবাবু জানিয়েছেন। বালুরঘাট কলেজের ১৬৩৩ জন পড়ুয়া গত বছর জুলাইয়ে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দেন। নিয়ম মতো তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা। ফল প্রকাশের আশায় থেকে পড়ুয়ারা দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হন। তার পর প্রায় বছর ঘুরতে চললেও ফল প্রকাশ না হওয়ায় বহু পড়ুয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন। ঠিক মতো ক্লাশ করতে পারেননি বলে কলেজ সূত্রের খবর। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগামী ১০ জুন থেকে দ্বিতীয় বর্ষের অনার্স পরীক্ষা শুরুর দিন ঘোষণা করা হয়েছে।
ফর্ম ফিলাপের দিন ঠিক হয়েছে ২৪-৬ জুন। তৃতীয় বর্ষের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা ২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত দিন ধার্য করা হলেও তা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ওই পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ছাত্র সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৭ এপ্রিল। পড়ুয়াদের অসম্পূর্ণ ফল প্রকাশের দাবি নিয়ে ছাত্র সংগঠন গুলির তরফে তেমন আন্দোলন হয়নি। কলেজের প্রায় ২০০০ এসসি-এসটি, ওবিসি পড়ুয়া পঠনপাঠনের জন্য সরকারি অনুদানের টাকা পাচ্ছেন না। অধ্যক্ষ তারাশঙ্করবাবু বলেন, “অনুদান পেতে ছাত্রছাত্রীদের আবেদনপত্রের সঙ্গে রেজাল্টের জেরক্স কপি জমা দিয়ে হয়। স্বাভাবিকভাবে ফল প্রকাশ না হওয়ায় তফসিলি ও আদিবাসী পড়ুয়ারা ২০১২-১৩ শিক্ষা বর্ষের অনুদানের টাকা না পেয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন।” কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বিমল রায়, টুটুন মোহান্ত, নীতা বসাকের মতো অনেকেই জানান দ্বিতীয় বর্ষের একটি বিষয়ের অসম্পূর্ণ ফল এখনও প্রকাশ করা হয়নি। |
|
|
|
|
|